Telegram Group Join Now
WhatsApp Group Join Now

শরীর রোগমুক্ত রাখতে জানুন চিরতার গুনাগুন

শরীর রোগমুক্ত রাখতে জানুন চিরতার গুনাগুন

পরিচিতি :
চিরতা বীরু জাতীয় গাছ। এর স্বাদ তেতো। নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে চিরতা কার্যকর।

উপকারিতা:
চিরতা বর্ষজীবি উদ্ভিদ। গাছটির গড় উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার। প্রাচীনকাল থেকে চিরতা ভারতবর্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।চিরকালের তিতা গাছ বলে হয়তো বাংলায় এর নাম দেয়া হয়েছে চিরতা।
             ➢ ডায়রিয়া ও লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে চিরতার জল ব্যবহৃত হয়।আজকাল অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিরতার জল উপকারি।চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। চিরতার জল লিভারকে পরিষ্কার রাখে। এছাড়া লিভারের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফ্যাটি লিভার ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
 ➢ ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম চিরতা চার কাপ জলেতে সিদ্ধ করে দুই কাপ করুন। এরপর ওই জল ছেঁকে সকালে অর্ধেক এবং বিকেলে অর্ধেক করে খেতে দিন। জ্বর ভালো হয়ে যাবে। 
 ➢ অ্যালার্জিতে শরীর ফুলে উঠলে চিরতার জল খেলে উপকার পাবেন। রাতে পাঁচ গ্রাম চিরতা ২৫০ মিলিলিটার গরম জলেতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ওই জল দু-তিনবারে খান; অ্যালার্জি কমবে। 
 ➢ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বমিভাব হলে এক গ্রাম চিরতা গুঁড়া করে চিনির জলেতে মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া ঘন ঘন বা জ্বরের কারণে বারবার বমি হয়ে পেটে কিছুই থাকে না। সে ক্ষেত্রে দুই কাপ গরম জলেতে পাঁচ গ্রাম চিরতা একটু থেঁতো করে ভিজিয়ে রাখুন। দু-তিন ঘণ্টা পর ছেঁকে জলটা অল্প অল্প করে খান; সমস্যা থাকবে না। 
 ➢ হাঁজলর প্রকোপ বেশি হলে আধা গ্রাম চিরতা গুঁড়া তিন ঘণ্টা পর পর মধু মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার অল্প অল্প করে চেটে খান; হাঁজলর প্রকোপ কমবে। 
 ➢ চিরতা অ্যালার্জির সমস্যা - অনেকেরই মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। অ্যালার্জির জন্য শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায় ও আরও সমস্যা হয়। চিরতা এক্ষেত্রে উপকারি। রোজ সকালে চিরতার জল খান উপকার পাবেন। এছাড়াও ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে চিরতার জল। 
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় - চিরতার মধ্যে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত চিরতা সেবনে ক্যানসার ও হৃদরোগে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। 

➢ কৃমির উপদ্রব হলে ৫০০ মিলিগ্রাম চিরতা অল্প মধু মিশিয়ে খান কৃমি কমবে। এ ছাড়া কৃমির কারণে যদি পেটে ব্যথা হয়, তাও সেরে যাবে। 
 ➢ যেকোনো ধরনের চুলকানিতে 3০ গ্রাম চিরতা অল্প জল দিয়ে গরম করে ছেঁকে অল্প অল্প করে নিয়ে চুলকানিতে ঘষে ঘষে লাগান। তিন দিনের মধ্যে চুলকানি কমে যাবে। 
 ➢ চুল পড়ে যাওয়ায় তিন গ্রাম চিরতা এক কাপ গরম জলেতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই জল ছেঁকে মাথা ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়ে যাওয়া কমবে। তবে এক দিন পর পর চার দিন চুল ধুতে হবে। এ ছাড়া ২৫ গ্রাম চিরতা ফুল ২০০ গ্রাম নারিকেল তেলে ভেজে ওই তেল মাথায় ব্যবহার করুন। খুশকি বা স্কাল্পে কোপনো সমস্যা থাকলে সেরে যাবে। 

➢ চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারি- চিরতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারি। কারণ চিরতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। ব্লাডে সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও চিরতার জল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে। 
 ➢ জ্বরে - জ্বরের ক্ষেত্রেও চিরতা উপকারি। জ্বরের ফলে শরীরে এনার্জি না লাগা, জ্বর ভাব এগুলি দূর করতে চিরতা উপকারি।
 ➢ তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে - রক্তকে পরিষ্কার করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।ফলে তারুণ্য ধরে রাখে। 
 ➢ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। 
 ➢ পচা ঘা সারে - এক্ষেত্রে আগের দিন রাতে এক কাপ গরম জলেতে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেই জল ছেঁকে পচা ঘা ধুয়ে দিলে ২-৪ দিনের মধ্যে ঘায়ের পচানি চলে যাবে ও দ্রুত শুকাবে। 
 ➢ হৃদরোগে - চিরতার মধ্যে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত চিরতা সেবনে ক্যানসার ও হৃদরোগে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। 



এখন বাংলা - Ekhon Bangla | খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, বাংলার একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
নবীনতর পূর্বতন
Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now