আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজব দুনিয়া। তাই একা কেন মরবেন, সঙ্গে আরও কয়েকজনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে অবাক কাণ্ড ঘটিয়েছেন করোনা আক্রান্ত এক জাপানি। অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে ঘুরে বেড়ালেন একাধিক পানশালায়। কয়েক পেগ সুরা পান করে পানশালা ছাড়ার সময়ে উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণাও করেছেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। শেষ পর্যন্ত ওই কীর্তিমান ব্যাক্তিকে পাকড়াও করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ।
জাপানের ‘টোকিও রিপোর্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই কীর্তিমান ব্যাক্তি গামামোরির বাসিন্দা। তাঁর বাবা-মাও করোনায় আক্রান্ত। শরীরে মারণ ভাইরাসের উপসর্গ লক্ষ্য করার পরে নিজেই হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে বেশ কয়েকদিন বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে উল্টোটাই করেছেন ওই কীর্তিমান ব্যাক্তি। বাড়ি ফিরে গিয়ে খানিক বাদেই ফের বাইরে বেরিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের বলে যান, ‘আমি করোনা ভাইরাস ছড়াতে যাচ্ছি।’ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি চেপে প্রথমে ইজাকায়া নামে একটি পানশালায় হাজির হন। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে হাজির হন ফিলিপিনো নামে অন্য এক পানশালায়। সেখানে বেশ কয়েক পেগ গলাধকরণের পরে চিৎকার করেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘোষণা করতে থাকেন।
ওই ব্যাক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জানার পরেই পানশালায় হুলুস্থুলু বেঁধে যায়। খদ্দেরদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পানশালার ম্যানেজার স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের গোচরে আনেন বিষয়টি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। খবর পেয়ে পুলিশ যখন পানশালায় হাজির হয় ততক্ষণে ওই ব্যাক্তি চম্পট দিয়েছেন। পরের দিন বাড়িতে হানা দিয়ে ওই ব্যাক্তিকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে পুলিশ।
ওই ব্যাক্তির এমন বেনজির আচরণের জন্য শহরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন স্থানীয় মেয়র তোশিয়াকি সুজুকি।ওই কীর্তিমান ব্যাক্তি যে দুই পানশালায় গিয়েছিলেন, সেগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। পানশালার কর্মী ও ওই সময়ে থাকা খদ্দেররা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, তার জন্য তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।