৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বুকিং বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার, তবে কি লকডাউন বাড়ছে?
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত বুকিং বাতিল করল এয়াল ইন্ডিয়া। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে যে ১৪ এপ্রিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা। স্বাভাবিকবশতই এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বেড়েছে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ, তবে কি লকডাউন বাড়ছে?
আন্তর্জাতিক তো বটেই, উপরন্তু অন্তর্দেশীয়, এই দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে এই নতুন নির্দেশিকা। লকডাউনের জেরে এমনিতেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত উড়ান বন্ধ রয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সিভিল অ্যাভিয়েশন সেক্রেটারি প্রদীপ সিং খারোলা জানিয়েছিলেন যে, কোনও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ চাইলে, ১৪ এপ্রিলের পরের তারিখের বুকিং নেওয়া শুরু করতে পারে।
প্রসঙ্গত গোটা দেশজুড়ে তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ দিনের জন্য চলছে লকডাউন। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। যদিও মার্কিন সংস্থার এক রিপোর্টে উদ্বেগ বাড়ছে দেশবাসীর। ২১ দিনের লকডাউনে গৃহবন্দি সকলে। কবে লকডাউন উঠবে, কবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী। একটা-একটা করে দিন গুনছেন প্রত্যেকেই। কিন্তু সত্যিই কি ১৪ এপ্রিলের পর রেহাই মিলবে? মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (BCG) রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে। আর তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ।
কারণ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতে লকডাউন চলতে পারে। কীসের ভিত্তিতে এ কথা বলা হচ্ছে? লকডাউনে চিনের পরিস্থিতি এবং ভারতের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। BCG-র দাবি, ভারতের জনসংখ্যা এবং অনুন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যই এত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব হবে না। তা অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াবে। শুধু তাই নয়, তাদের সমীক্ষা বলছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আর তাই বোধহয়, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি দেখেই এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফে আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিজেদের সমস্ত বুকিং বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এরকম পরিস্থিতি দাঁড়ালে অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই যে উড়ান বাতিল করতে হবে, তা বলাই যায়।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়