করোনার কারণে দুশ্চিন্তায় মালদার আম চাষীরা

করোনার কারণে দুশ্চিন্তায় মালদার আম চাষীরা

অমিয় ঘোষ, মালদা : করণের কারনে দুশ্চিন্তায় মালদার আম চাষীরা।আজ বৈশাখ মাসের শেষ দিন আগামী কাল থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুভারম্ভ। এর মধ্য গোটা দেশের সাথে সাথে মালদা জেলায় চলছে লোকডাউন।এই লোকডাউন সব থেকে ক্ষতির চিন্তা বাড়িয়েছে আম চাষীদের।এ বছর আমাদের ফলন খুব একটা ভালো হয় নি তবুও যে কয়েকটা ফল ধরেছিল সেগুলোও শিলা বৃষ্টি ও কাল বৈশাখী ঝড়ে সব ফল গুলো ঝড়ে পড়েছে ।মালদার আম সারা বিশ্ব জুড়ে খ্যত,প্রতি এবার সারা বিশ্ব এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকে আমের এই অপূর্ব স্বাদের জন্য।এই মাসের মধ্যেই আম পাকা শুরু হবে। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আম নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন মালদার চাষীরা।

ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসায় ব্যাপক ঘাটতে রয়েছে। এ ছাড়া সরকার ভাবে ঘোষিত ছুটিতে স্থবির সারা দেশ। ফলে থমকে আছে সারা দেশ। কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। এতে বিশেষ করে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন যারা তারা হবলেন ব্যবসায়ীরা।

মালদা জেরার  এক আম চাষী ভাদু ঘোষ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার আগে আমার ৬ বিঘা জমির ওপর আমের বাগানের দাম বলেছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে এই বাগান কেউ ১ লাখ টাকাতে নিতে চাচ্ছে না। ফলে এ সময় আম নিয়ে কি হবে ভেবে পাচ্ছি না। আম নিয়ে প্রচুর দুশ্চিন্তায় আছি।আমি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আম চাষ করেছি কিন্তু প্রথমে শিলা বৃষ্টি ,কাল বৌশাখী তারপর কোরনা ভাইরাস  এর কারনে আমার বাগানের আম মনে হয় গাছে থেকে পড়ে নষ্ট হবে। এই 
পরিস্থিতিতে মালদার আম চাষীরা সরকারি সহাস্য চাইছি। 

মালদা জেলার আম ব্যবসায়ী বিমান মন্ডলের সাথে কথা বললে উনি জানান ,আমি বেশ কিছু বাগান কিনেছি কিন্তু যে ভাবে আমাদের কোরনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মনে হয় না যে লোকডাউন খুলবে ।আর লোকডাউন না খুললে আমাদের মত ব্যবসায়ীরা খুবই সমস্যার সম্মুখীন হবে।

মালদার আম আড়ৎদার আজমত আলী বলেন, আমাদের মালদার  অধিকাংশ মানুষই আমের উপর নির্ভরশীল, কিন্তু এই বছর আমের যা পরিস্থিতি তাতে মনে হয় খুব সচনিয় অবস্থা হবে আমাদের।।

মালদা জেলা কৃষি অফিসের তথ্যে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ২০ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর বাগানে আম কম থাকায় উৎপাদন ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৩ থেকে ৫ মেট্রিক টন। এই জেলায় খাদ্যশস্যের পাশাপাশি অর্থকরী ফসল হিসেবে আম প্রধান।দেশের বিভিন্ন এলাকায় মালদা জেলার আমের সুখ্যাতি সবচেয়ে বেশি।

আর রতুয়া-২ ব্লকের  আম চাষী  নিরঞ্জন মন্ডল জানান, বিগত দুই বছর কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সরকারিভাবে  বেঁধে দেওয়া সময়ে আম পাড়া শুরু এবং বাজার মূল্য ভালো না পাওয়ায় আমের সঙ্গে সম্পৃক্তরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চলতি বছরে আমের উৎপাদন তুলনামূলক কম হয়েছে।এর ফলে বাজারমূল্য ভালো হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সে আসাটাও ভেস্তে যেতে বসেছে।
আর চাষী হেমন্ত বসাক  জানান, শতাধিক বিঘা আম বাগান লিজ নিয়ে চাষ করেছি। গাছে যথেষ্ট আম আছে। মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আম পাড়া শুরু হওয়ার আগে এই মহামারী স্বাভাবিক না হলে অনেক ব্যবসায়ী ও চাষীদের পথে নামতে হবে। এ দিকে সামনে যে কোনো সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ের একটি ভয় আছে।

জেলা কৃষি কর্তা জানান, এক বছর গাছে ভালো আম হলে অন্য বছর কম হয়। পরপর দুই বছর প্রচুর পরিমাণ আম উৎপাদন হয়েছে। সেই তুলনায় এ বছর গাছে আম কম রয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাস কেটে গেলে আশা করছি চাষীরা ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।


এখন বাংলা - Ekhon Bangla | খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।

(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।
নবীনতর পূর্বতন