Telegram Group Join Now
WhatsApp Group Join Now


কতটা পথে পেরলে তবে বাড়ি ফেরা যায়? ট্রলি ব্যাগের উপরে শুয়ে সন্তান, টানছেন মা!



কতটা পথে পেরলে তবে বাড়ি ফেরা যায়? ট্রলি ব্যাগের উপরে শুয়ে সন্তান, টানছেন মা!




হাইলাইটস


পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের বাড়ি ফিরতে না পারায় বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তিও ছড়িয়েছে একাধিকবার। বাধ্য হয়ে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে সরকার।


কিন্তু সেই সংখ্যা যে কতটা কম, তা বোঝা গেল আবার। পরপর দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে কত পরিযায়ী শ্রমিকের। বুধবার রাতেও একাধিক জায়গায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে।


উত্তরপ্রদেশের আগ্রার দেখে আবার অনেকেই শিউরে উঠেছেন।


এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে আচমকাই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২৪ মার্চ থেকে তিন দফায় ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে বন্ধ সমস্ত যান চলাচল। পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের বাড়ি ফিরতে না পারায় বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তিও ছড়িয়েছে একাধিকবার। বাধ্য হয়ে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু সেই সংখ্যা যে কতটা কম, তা বোঝা গেল আবার। পরপর দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে কত পরিযায়ী শ্রমিকের। বুধবার রাতেও একাধিক জায়গায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। এবার সামনে এল আরেকটি হৃদয়বিদারক চিত্র। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ট্রলির উপরে শুয়ে রয়েছে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এক শিশু আর তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মা।




পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি তো আর কম দূরত্ব নয়। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। বড়রাই যেখানে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ছেন এখানে-ওখানে, সেখানে একটা শিশুর কী দোষ! ফলে ট্রলি ব্যাগের উপরে উঠেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। কষ্ট করে ব্যাগ এবং ব্যাগের উপরে ঘুমনো সন্তানকে নিয়ে টেনে চলেছেন ক্লান্ত মা, গন্তব্য নিজেদের সেই ভাঙাচোরা বাড়ি। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার দেখে আবার অনেকেই শিউরে উঠেছেন।




জানা গিয়েছে, ওই পরিবার ঝাঁসির বাসিন্দা। স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন শিশুটির বাবা। কিন্তু লকডাউনে জোটেনি ঠিকঠাক খাওয়াও। পাননি শ্রমিক ট্রেনের টিকিটও। তাই পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। আর পথেই ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। তার বাবা জানিয়েছে, খিদে আর হাঁটার চোটে ঘুম পেয়ে গিয়েছিল শিশুটির। তখন তাঁকে ট্রলির উপর শুইয়ে দেন তাঁর মা। নিজে ক্লান্ত হলেও টেনে চলেছেন সেই ব্যাগ।




বৃহস্পতিবারই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একাধিক কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু তাতেও কি কাটবে ওঁদের দুর্ভোগ? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।




দিন কয়েক আগে সামনে এসেছিল আরেক হৃদয় বিদারক চিত্র। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বইয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর বাড়ি ফিরতে কোনও গাড়ি পাননি এক মা। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো তিনিই বাড়ি ফিরছেন পায়ে হেঁটেই। মাত্র ১৭ দিন আগে সন্তানের জন্ম দেওয়া ওই মা থাকেন মুম্বই থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরের বিধর্ভ এলাকায়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে তাঁকে একটা গাড়িও বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়নি বাড়ি ফেরার জন্যে। তাঁর পরিবারের লোকেরাও পারেননি লকডাউনের মধ্যে গাড়ির ব্যবস্থা করতে। ফলে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন মা ও তাঁর ১৭ দিনের সন্তান।




ওই মা ও তাঁর সন্তান করোনা আক্রান্ত হননি। তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল বটে, কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এই পরিস্থিতিতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাঁদের একটা গাড়ির বন্দোবস্ত করে দেয়নি। মুম্বই পুলিশের কাছে নিজেদের গাড়িভাড়া করার জন্য অনুরোধ করা হলেও সেই অনুমতি মেলেনি। পায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে মহিলার। কোলে ১৭ দিনের সন্তান। খাবারও নেই। তবু, সন্তানকে নতুন পৃথিবী দেখাতে পথ হাঁটছেন কোনও এক 'মাদার ইন্ডিয়া'।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


Source : BanglaSonbad


নবীনতর পূর্বতন
Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now