আপনি সুরক্ষিত? নতুন করে ১৪৫টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা কেন্দ্রের



আপনি সুরক্ষিত? নতুন করে ১৪৫টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা কেন্দ্রের




নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি : পঞ্চম দফা লকডাউন ঘোষণার আগেই নতুন করে ১৪৫টি জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করল কেন্দ্র। এর বেশিরভাগই গ্রামঅধ্যুষিত বলে জানা গিয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই জেলাগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলাগুলি করোনার এপিসেন্টার বা উৎসমুখ হয়ে উঠতে পারে বলে কেন্দ্র সতর্কতা জারি করেছে।




কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও এই জেলাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলিকে এই মর্মে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার ফলেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওডিশা সহ বারোটি রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে ত্রিপুরা ও মণিপুর।




স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে সবথেকে আক্রান্ত রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র, তামিল নাড়ু, গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের থেকেই করোনা আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে অসম, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা ও মধ্যপ্রদেশে। তবে তালিকায় না থাকলেও পশ্চিমবঙ্গেও আশঙ্কা থাকছে। এর আগেই এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।




তাঁর প্রশ্ন ছিল, “বাংলায় সংক্রমণ বাড়লে কেন্দ্রীয় সরকার তার দায় নেবে তো?” “শ্রমিক স্পেশ্যাল কেন বেশি করে চালানো হচ্ছে না, কেন বগি বাড়ানো হচ্ছে না?” প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, “যখন বড় কোনও তীর্থযাত্রা হয়, তখন যেমন অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয়। আপনারা ট্রেনে তুলে দিচ্ছেন ক্ষমতার থেকে দ্বিগুণ সংখ্যক যাত্রী। সেখান থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের কোনও পরীক্ষা হয়নি। এখানে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের নিয়ে তো কোনও সমস্যা হয়নি। তাহলে যাঁরা আসছে তাঁদের কেন পরীক্ষা করিয়ে পাঠানো হচ্ছে না?” কটাক্ষের সুরে রেলকে তাঁর প্রশ্ন ছিল, আপনারা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছেন না করোনা এক্সপ্রেস চালাচ্ছেন? পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে পাঠানো নিয়ে রেলের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।




পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন নবান্নে ক্ষুব্ধ মমতা বলেছিলেন, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে সমস্যা ফেলতে গিয়ে বাংলার সর্বনাশ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।” কিন্তু তাঁর কথা কর্ণপাত করেনি রেল। উল্টে বিজেপি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছে।








এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়


এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।


Source Open




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।


নবীনতর পূর্বতন