WhatsApp Channel Join Now
Google News Follow Now


রাজ্যকে বিকল্প শিক্ষাবর্ষ তৈরির পরামর্শ কেন্দ্রের



রাজ্যকে বিকল্প শিক্ষাবর্ষ তৈরির পরামর্শ কেন্দ্রের




করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যগুলোকে স্থানীয় পরিস্থিতি বিচার করেই বিকল্প শিক্ষাবর্ষ তৈরির পরামর্শ দিলেন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিটি রাজ্যের কাছে বোর্ডের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু করার আর্জি জানিয়েছেন। একই অনুরোধ তিনি সিবিএসই কর্তৃপক্ষকেও করেছেন। একান্তই স্কুল খুলতে হলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আগাম নিরাপত্তামূলক নির্দেশিকা তৈরি করারও আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।




তবে স্কুল নাকি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, কোন স্তরে বিকল্প শিক্ষাবর্ষ তৈরির পরামর্শ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী দিয়েছেন, সেটা তাঁর টুইট থেকেস্পষ্ট নয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। হরিয়ানা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরসি কুহড়ের নেতৃত্বে ওই কমিটি দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালগুলোর জন্য সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরুর সুপারিশ করেছেন। যার ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার ক্যালেন্ডার ইউজিসি-র ঘোষণা করার কথা। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, রাজ্যে ১০ জুন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা হবে জুন মাসে। একাদশের বার্ষিক পরীক্ষায় সবাই পাশ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে শুধু ফাইনাল ইয়ার বা সেমেস্টার পরীক্ষা হবে। শিক্ষাবর্ষ বা সেমেস্টারের মাঝপথে থাকা পড়ুয়ারা একধাপ করে এগিয়ে যাবেন। যে সেমেস্টারের পরীক্ষা হল না, তা পরে নেওয়া হবে।




রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই বৈঠকে ছিলেন না। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ওই বৈঠক ডেকেছিল মিড ডে মিল এবং এসএসএ-র প্রোজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের (প্যাব) বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করতে। কোনও বছরই প্যাবের বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা থাকেন না। তাই, আমি সর্বশিক্ষা প্রকল্প অধিকর্তা (এসপিডি) ও স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে বৈঠকে অংশ নিতে বলেছিলাম।’




কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক টুইট করে জানিয়েছে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলপড়ুয়াদের মিড ডে মিল সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসএসএ-র বিধিতে ছাড় দিয়ে গত অর্থ বছরে খরচ করতে না-পারা ৬,২০০ কোটি টাকা চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০২০-২১) ব্যবহারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অনুরোধ মেনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লকডাউনের বিধি শিথিল করে ব্যবস্থা করছে, যাতে পড়ুয়ারা পাঠ্যবই, পেন, খাতা-সহ পড়াশোনার সামগ্রী হাতে পায়।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


Source : BanglaSonbad


নবীনতর পূর্বতন