সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে বিপত্তি, করোনায় আক্রান্ত গ্রামের ছ’জন



সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে বিপত্তি, করোনায় আক্রান্ত গ্রামের ছ’জন




 করোনা ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়ার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেলেন মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামের ছয় ব্যক্তি। লকডাউনের মাঝেই চুল কাটতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেলুনে। অদ্ভুতভাবে খোলা ছিল সেলুনও। আর সেখানে চুল কেটে আর দাড়ি-গোঁফ কামিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন। জানা গেল, সেলুন থেকে ফেরা সেই ছ’জনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গোটা গ্রামকে ইতিমধ্যেই সিল করেছে পুলিশ।




ঘটনা মধ্যপ্রদেশের খারগো জেলার বারগাঁও গ্রামের। ইন্দোরের এক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি গত ৫ এপ্রিলই গ্রামে ফেরেন। তিনিই সম্প্রতি সেই সেলুনে গিয়েছিলেন চুল কাটতে। পরে ওই জেলার মেডিক্যালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দিব্যেশ বর্মা জানান, সেই হোটেলকর্মীর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তারপরই সেলুনে যান গ্রামের আরও কয়েকজন। জানা যায়, নাপিত খদ্দেরদের চুল-দাড়ি-গোঁফ কাটতে একই কাপড় ব্যবহার করেছিলেন। আর সেখানেই লুকিয়েছিল সংক্রমণের বীজ। ওই দিন সেলুনে যাওয়া ১২ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ছ’জনের রিপোর্টই পজিটিভ আসে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।




As many as 6 people in Khargone who went to a hair-cutting saloon recently for hair-cuts and shaving have contracted #coronavirus entire village has been sealed barber used same cloth for shaving and hair cutting as per Doctors #haircut @ndtv #VirusCorona #COVID2019india pic.twitter.com/7kCOnoZ0Gl




— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) April 25, 2020




তবে জানা গিয়েছে, খদ্দেররা করোনায় আক্রান্ত হলেও নাপিতের রিপোর্ট নেগেটিভ। গোটা গ্রামকে আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই জেলায় এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। করোনার বলি মোট ছ’জন। সেলুনে একাধিকবার ব্যবহৃত কাপড়, কাঁচি চিরুনি ইত্যাদি থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আর ঠিক সেই জন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্র শর্তসাপেক্ষে ছাড় দিলেও সেলুন আপাতত বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাড়ের আওতায় রাখা হয়নি মদের দোকান, বিউটি পার্লারকেও। বন্ধ থাকবে শপিং মল এবং সুপার মার্কেটও।




দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছুঁইছুঁই। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭৭৯ জনের। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার তুলনামূলক অনেকটাই কম হওয়ায় আশার আলো দেখছে দেশ।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন