জুম অ্যাপের কামাল! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কয়েকশো মাইল দূরে থাকা বর-কনে
করোনার দাপটে সময়টা যেন থমকে গিয়েছে। অর্ধেক পৃথিবীতে লকডাউন অথবা শাটডাউন। ভরা বিয়ের মরসুমে বাধ সেধেছে মারণ ভাইরাস আর লকডাউন। কিন্তু ওই যে বলে, ‘মিয়া-বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজী!’ তাই হবু বরের থেকে কয়েক শো মাইল দূরে বসেও বিয়ে সেরে ফেললেন ‘বরেলি কি দুলহন’। পুরোহিত আবার ছিলেন রায়পুরে। নতুন দম্পতিকে আশীর্ব্বাদ দিতে হাজির ছিলেন দূর-দূরান্তের আত্মীয়রাও। ভাবছেন তো, লকডাউনের মাঝে এমনটা কীভাবে সম্ভব হল?
তাঁদের মুশকিল আসান জুম অ্যাপ। ডিজিটাল মাধ্যমেই ধুমধাম করে বিয়ে সারলেন ২৬ বছরের সুশেন ডাং ও কীর্তি নারাং। বিয়ে নিয়ে কতই না স্বপ্ন বুনেছিলেন ওঁর! বিশাল ভিলায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং, হাজার-হাজার অতিথি সমাগম, ডিজাইনার পোশাক, মেহেন্দি-সংগীতের রঙ্গীন অনুষ্ঠান। যা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠত। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাও চলছিল। কিন্তু মাধে বাধ সাধল করোনা সংক্রমণ। ঠিকুজি-কুষ্ঠি মিলিয়ে দুই পরিবার বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বাড়তেই মাথায় হাত দুই পরিবারের। কী হবে! গ্রহ-নক্ষত্রের যোগ বলছে শুভদিনেই পরিণয় সম্পন্ন হওয়া দরকার। তাহলে? ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বিয়ে সারলেন তাঁরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বরেলিতে মায়ের বিয়ের লাল লেহেঙ্গা পরে বিয়ে পিঁড়িতে বসেছিলেন কীর্তি। এদিকে মুম্বইয়ে রীতিমতো পাগড়ি বেঁধে বর সেজেছিলেন সুশান। ওদিকে রায়পুর থেকে বিয়ের মন্ত্রোচ্চারণ করছিলেন পুরোহিত। ডিজিটাল মাধ্যমেই হল কন্যাদান। তবে মজার বিষয় হল, সেজেগুজে জুম অ্যাপের ওই বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন অতিথিরা। বিয়ের শেষে বলিউডি গানের তালে রীতিমতো কোমর দোলালেন তাঁরা। তা আবার মন্তাজ করে দেখানো হয় জুম অ্যাপে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বর ইনটালিজেন্স অ্যানালিস্ট সুশান বলেন, “স্বপ্নে এরকম বিয়ের কথা ভাবিনি।” একই কথা বলছেন মেকআপ আর্টিস্ট কনে কীর্তিও। লকডাউনের আবহে বিয়ের বাজারে ভাটা। আটকে রয়েছে বহু বিয়ের অনুষ্ঠান। তার মাঝেই এরকম ডিজিটাল অনুষ্ঠান নিসন্দেহে নজর কেড়েছে। নেটিজেনদের একাংশ বলছে, অর্থের অপচয়ও যেমন কমল, তেমনই লকডাউনও মানা হল।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়