করোনা যুদ্ধে শামিল নৌসেনা, কলকাতার ঘাঁটিতে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড
করোনা রোধেও রুখে দাঁড়াল নৌসেনা। লকডাউনের সময়ও সমুদ্রে ভেসে জলসীমা রক্ষা করা থেকে শুরু করে উপকূলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে নৌসেনার গুটিকয়েক যুদ্ধজাহাজ। অনেকগুলি আবার রয়েছে জেটিতে। সেনাকর্মীদের শরীরের অবস্থা জানতে প্রত্যেকটি যুদ্ধজাহাজে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হচ্ছে। কলকাতার নৌসেনা ঘাঁটি আইএনএস নেতাজি সুভাষে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।
নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশরক্ষায় কিছু যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রে ভেসেছে। জল অথবা ডাঙায়, কড়াকড়িভাবে নৌসেনাকর্মী ও নাবিকদের পারস্পরিক দূরত্ব মেনে থাকতে হচ্ছে। ২০ জনের একটি টিমকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাঁরা মেডিক্যাল টিমকে সাহায্য করছেন। এই টিমটি প্রতিনিয়ত নৌসেনা আধিকারিক, কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের শরীর পরীক্ষা করছেন। নৌসেনা ঘাঁটিতে চলছে স্যানিটাইজেশন। সেখানে ঢুকতে গেলেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হচ্ছে। কারও জ্বর হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে থার্মাল গান দিয়ে। যাঁরা ছুটি কাটানোর পর ডিউটি করতে এসেছিলেন, তাঁরা এখনও আইসোলেশনে রয়েছেন। যাঁরা ছুটিতে আছেন, তাঁদের বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে। বহু কর্মীর ডিউটিই বাতিল করা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতার কাছাকাছি যে যুদ্ধজাহাজগুলি ছিল, সেগুলি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেনাকর্মীদেরও জেটিতে নামার অনুমতি নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আইএনএস নেতাজি সুভাষ নৌসেনা ঘাঁটি থেকে স্যানিটাইজ করে পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধজাহাজগুলিতে। পৌঁছচ্ছেন চিকিৎসকরাও। কারও শরীরে সামান্য জ্বরের চিহ্ন দেখা গেলেও সতর্কতামুলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক আধিকারিক, কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের মাস্ক পরে ডিউটি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়