থানাগুলিকে সতর্ক বার্তা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের, পুলিশের জন্য এল পিপিই, মাস্ক
সাবধানের মার নেই। করোনা আবহে থানাগুলিতেও তাই করোনা সতর্কতা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। রাজ্য পুলিশের সব ব্যারাকেই কম পুলিশকর্মী রাখা হবে। যেসব ব্যারাকে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী রয়েছেন তাঁদের অন্য থানা বা ব্যারাকে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আবার কোথাও প্রবীণ বা জটিল রোগাক্রান্ত কোনও পুলিশকর্মীকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে।
জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়াই তাঁদের কাজ। তবে পুলিশ বলে কি মানুষ নন? তাই তাঁদের কথা ভেবেই এবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল স্বরাষ্ট্র দপ্তর। থানা বা ব্যারাক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে। লকডাউনের নিয়ম মানাতে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন পুলিশ কর্মীরা। প্রয়োজনে করোনা আক্রান্ত ও অন্য রোগীদের নিজেদের গাড়িতে তুলে হাসপাতালেও নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সকলকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁরা যাতে আক্রান্ত না হয়ে পড়েন তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ইতিমধ্যেই অন্তত ১৭ হাজার পিপিই (PPE) বিলি করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ জীবাণুমুক্ত দস্তানা (Hand Gloves)। প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং সাবানও দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের জন্য বন্ধ হাওড়ার ধুলাগড় শিল্পতালুক। তবে জরুরি ভিত্তিতে পিপিই তৈরির জন্য শিল্পতালুকেও ২৫ শতাংশ কর্মী দিয়ে পিপিই তৈরির দ্রব্য পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। সরকারি সংস্থা তন্তুজের জন্য ইতিমধ্যেই পিপিই তৈরির কাজ শুরু করেছে নদিয়ার তেহট্টের সুবর্ণ বিহার সমবায়, কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি। সমিতির মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ‘সায়ন স্কিল স্কুল।’ রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের উদ্যোগে অন্তত দেড়শো মহিলা এই কাজ করছেন। সমিতির তৈরি মহিলাদের ‘রঙ্গোলি’ ব্র্যান্ডের পোশাক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে। এখন সেই সংস্থাই পিপিই তৈরি করছে।এখনও পর্যন্ত এই সমবায় সংস্থাকে প্রায় দু’লক্ষ পিপিই তৈরির বরাত দিয়েছে তন্তুজ। আবার রবিবার থেকেই তন্তুজ ‘কটন মাস্ক’ তৈরি শুরু করল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য তুলোর মাস্ক। ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে। তাই তা বারবার ব্যবহার করলে কোনও সমস্যা হবে না।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়