‘গেটওয়ে’ নেপাল সীমান্ত, ভারতে করোনা আক্রান্তদের ঢোকানোর ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের








‘গেটওয়ে’ নেপাল সীমান্ত, ভারতে করোনা আক্রান্তদের ঢোকানোর ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের | এখন বাংলা - Ekhon Bengla

কড়া হাতে করোনা দমনের চেষ্টা করছে ভারত। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর চিন্তাভাবনাও করছে কেন্দ্র। ওড়িশায় ইতিমধ্যেই লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতকে লড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে। গুলির লড়াই নয়, নেপাল সীমান্ত পার করে ভারতে করোনা আক্রান্তদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল বিহার পুলিশ।




বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার এসএসবির (সশস্ত্র সীমা বল) তরফে জানানো হয়, নেপালের জগন্নাথপুরের বাসিন্দা জালিম মুখিয়া নাকি এ কাজের দায়িত্ব নিয়েছে। নেপাল থেকে ভারতে বেআইনি অস্ত্রপাচারের সঙ্গেও জড়িত এই ব্যক্তি। তাকেই এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছে পাকিস্তান। করোনা মহামারিকে ভারতে আরও বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে চিরশত্রুরা।




জানা গিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে সমস্ত ভারতীয় মুসলিম নাগরিক কাজ করেন, এমন প্রায় ২০০ জনকে নেপাল সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যার মধ্যে পাকিস্তানে কর্মরত পাঁচ-ছ’জন ভারতীয় মুসলিমও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা কাঠমাণ্ডুতে এসে পৌঁছেছে। বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তাঁদের। শুক্রবারের মধ্যেই আরও ৪০-৫০ জন ভারতীয় মুসলিম এসে পৌঁছবে সেখানে। আগামিদিনে সেই সংখ্যা বাড়বে। এমনকী মনে করা হচ্ছে, এদের শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে।




ঘটনার কথা সামনে আসতেই সীমান্তের নিরাপত্তা আঁটসাট করা হয়েছে। নেপাল প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিহারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আমি সুভানি বলেন, “নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে এখনও কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। SSB জানিয়েছে, এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে খবর পৌঁছে দিয়েছি। কাউকেই সীমান্ত পেরতে দেওয়া হবে না।”




SSB did not say people have infiltrated from Nepal, they have only stated that there is a possibility. We have alerted police and Union Home Ministry has been informed. Nobody will be allowed to enter from our borders: Bihar Additional Chief Secretary (Home) Amir Subhani pic.twitter.com/dz4X96FkBf




— ANI (@ANI) April 10, 2020




করোনা মোকাবিলায় গত বুধবার ভারতের নেতৃত্বে আয়োজিত সার্ক দেশগুলির বাণিজ্য কর্তাদের ভিডিও কনফারেন্স বয়কট করেছিল পাকিস্তান। উলটে দাবি করা হয়, এই ধরনের বৈঠক তখনই কার্যকরী হবে যদি তা সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সচিব পর্যায় থেকে ডাকা হয়। আসলে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি যেভাবে ভারতের নেতৃত্বে করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা সহ্য হচ্ছে না ইমরান খানের সরকারের। তাই বিভিন্ন ছুতোয় এই উদ্যোগ ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। ভারত বিরোধিতার চেষ্টা করার জন্য ইসলামাবাদকে সতর্কও করে দিল্লি। এবার সামনে এল নয়া ষড়যন্ত্রের কথা। তবে ভারত তাদের উদ্দেশ্য কোনওভাবেই পূরণ হতে দেবে না। কড়া হাতে সেই মোকাবিলার জন্য তৈরি দেশ। বিহার পুলিশের কথাই সে ইঙ্গিতই স্পষ্ট।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন