লকডাউনের জের, ৩ মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেলের
জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কথা মাথায় রেখেই ৩ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রাখবে রেল। তবে পণ্যবাহী ট্রেন আগের মতোই চলবে। এদিকে, ৩ মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবাও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছিল। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ৬ লক্ষ ফেসমাস্ক তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ডস্যানিটাইজারও রয়েছে। এমনকী, সোশ্যাল ডিস্টানসিং বজায় রাখতে মিডিল বার্থ ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করায় যাত্রীবাহী ট্রেন না চলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা মেট্রো-সহ এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেন, এমনকী লোকাল ট্রেনও ৩ মে পর্যন্ত চলবে না। হাওড়া শাখার ডিআরএম ঈশাক খান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই মর্মে কোনও নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়নি। তবে আজকের মধ্যেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এদিকে, রেলের প্রোডাকশন ইউনিটগুলিতে এখন রেল তৈরি নয়, মাস্ক ও সানিটাইজার তৈরি হচ্ছে। মহিলা সংগঠন, আরপিএফ কর্মীরা এখন ব্যস্ত মাস্ক তৈরি করতে। রেলে তেরো লক্ষ কর্মী। এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে যত সংখ্যক মাস্ক লাগবে তা যোগান দেওয়ার ক্ষমতা নির্ধারিত সংস্থাগুলির না থাকায় রেল নিজেদের মাস্ক নিজেরাই তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। বোর্ডের নির্দেশ পেয়ে কাজ শুরু হয়। দু’দিনে তৈরি করে ৬ লক্ষ ১৩ হাজার ৮১৮টি রিইউজেবল ফেস মাস্ক ও ৪৪ হাজার ৩৭৫ লিটার স্যানিটাইজার। আগেই উত্তর রেলের ওয়ার্কশপ পিপিই ড্রেস তৈরি করে তা অনুমোদন করিয়ে নিয়ে বানানোর কাজ শুরু করেছে। এবার মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরি করছে আপৎকালীন ভিত্তিতে। রেল বোর্ডের এক কর্তার কথায়, যদি রেল চালু হয়, তবে চালক, গার্ড, টিটিইদের এই সুরক্ষার সামগ্রী দিতে হবে। না হলে তাঁরা সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কাজে যোগ দিতে চাইবেন না। এই পরিস্থিতি এড়াতে আগেই প্রস্তুত হয়েছে রেল।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়