বৃদ্ধরা নন, দেশে করোনায় বেশি আক্রান্ত যুব সম্প্রদায়, কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বাড়ছে উদ্বেগ








বৃদ্ধরা নন, দেশে করোনায় বেশি আক্রান্ত যুব সম্প্রদায়, কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বাড়ছে উদ্বেগ | এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়

ষাটোর্ধ্বরা নন, করোনার ‘ডেনজার জোন’-এ আছে যুব সম্প্রদায়। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮৩ শতাংশেরই বয়স ৫০-এর নিচে। ফলে এতদিনের ‘বয়স্ক আর শিশুদেরই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি’–এই ধারণাকে কার্যত ভ্রান্ত প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ‌্য। মন্ত্রকের তথ্য সামনে আসার পর আরও উদ্বেগ বেড়েছে।




প্রাপ্ত তথ‌্য অনুসারে এটা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে, দেশের জনসংখ‌্যার ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ হিসাবে চিহ্নিতরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়। পরিসংখ‌্যান অনুযায়ী, দেশের কোভিড-১৯ পজিটিভদের মধ্যে অন্তত ৪২ শতাংশেরই বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ ৪১-৫০ বছরের সীমার আওতায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের হার অন্তত ৩৩ শতাংশ। তৃতীয় স্তরে রয়েছেন সিনিয়র সিটিজেনরা। অর্থাৎ যাঁদের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এমনিতে এঁরাই এই ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির আওতায় রয়েছেন। আর এই মুহূর্তে তাঁদের মধ্যেই অন্তত ১৭ শতাংশ করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। সংক্রমিতের তালিকায় সর্বশেষে আছে তারা, যাদের বয়স ২০ বছরের নিচে। এই বয়সসীমার আওতায় পড়ে, এমন ৯ শতাংশ বর্তমানে করোনা পজিটিভ সাব‌্যস্ত হয়েছেন। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ‌্য মন্ত্রকের তরফে এই তথ‌্যমূলক পরিসংখ‌্যান পেশ করা হয়েছে।




এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ‌্য বিশারদরা বলছেন, দেশের যুবারা মনে করেছিলেন, তাঁদের এই রোগের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এখন তাঁরা নিজেরাই ভুল প্রমাণিত হচ্ছেন। বেশিরভাগেরই দাবি, যেহেতু এই রোগের উপসর্গ বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে যায়, তাই বয়স নির্বিশেষে প্রতে‌্যকেরই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বার বার হাত ধোয়ার অভ‌্যাস পালন করা উচিত।




এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


নবীনতর পূর্বতন