Telegram Group Join Now
WhatsApp Group Join Now


লকডাউনে খাবার জোটেনি সন্তানদের, বাড়ির দেওয়ালে লিখে সাহায্যের আবেদন অসহায় বাবার





লকডাউনে খাবার জোটেনি সন্তানদের, বাড়ির দেওয়ালে  লিখে সাহায্যের আবেদন অসহায় বাবার | এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


কারও বাড়ির দেওয়ালে লেখা কিংবা কোথাও কিছু এঁকে দেওয়ার মাধ্যমে দু’পয়সা রোজগার হত। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা পবন কুমার। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ কাজ। নেই উপার্জন।তার ফলে সন্তানদের জন্য খাবারও কিনতে পারছেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে পোস্টার টাঙালেন অসহায় বাবা। সরকারের কাছে জানালেন সাহায্যের আরজি।




করোনা সংক্রমণ এড়াতে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন নাগরিকের মতো লকডাউন মেনে বাড়িতেই রয়েছেন পবন কুমার। আচমকাই একদিন দেখা যায় বাড়ির গায়ে ‘হেল্প আস’ বা ‘আমাদের সাহায্য করুন’ বলে দেওয়ালে লিখছেন। কিন্তু কেন এমন করছেন পবন? কৌতূহলবশত এই প্রশ্ন পবনকে এক প্রতিবেশী করেন। তাতে পবন জানিয়েছেন, “বর্তমানে লকডাউনের জেরে কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ। আমি প্রতিদিনের কাজের নিরিখে অর্থ উপার্জন করতাম। তাই এখন কাজও বন্ধ আর টাকাও নেই। না কিনতে পারছি খাবার আর না জোগাড় করতে পারছি কোনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। দিনভর বাড়িতে বসে সন্তানদের খিদের জ্বালায় কান্না সহ্য করতে পারছি না। তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন দয়া করে সাহায্য করুন। নইলে আমরা না খেতে পেয়ে মারা যাব।”




পবনের আবেদন লোকমুখে প্রায় গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের তাতে টনক নড়ল কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। বারবার সরকারের তরফে ঘোষণা করা হচ্ছে, কারও খাবারের কোনও সমস্যা হবে না। তা সত্ত্বেও পবন কুমারের মতো দিনমজুরের সন্তানদের খিদের জ্বালায় কেন কান্নাকাটি করত হচ্ছে, বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন। তাহলে কি পুরোটাই কথার কথা। সরকারের তরফে অন্তঃসারশূন্য শুধু প্রচার করা হচ্ছে। তার কার্যকারিতা কিছুই নেই? সমালোচনার সুরে সেই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।   




Panchkula: Pawan Kumar,a daily wage painter has put up a”Help Us” poster outside his house on Chandigarh-Panchkula road, says,”Due to lockdown,I’ve got no work now. It’s difficult to even buy food as I don’t have any money left.Govt should help me so that I can feed my children”. pic.twitter.com/8pF2NRNMF2




— ANI (@ANI) April 5, 2020




এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


নবীনতর পূর্বতন
Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now