WhatsApp Channel Join Now
Google News Follow Now


করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি ‘মাস্টার প্ল্যান’, কাজ শুরু পুলিশ ও পুরসভার








করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি ‘মাস্টার প্ল্যান’, কাজ শুরু পুলিশ ও পুরসভার | এখন বাংলা - Ekhon Bengla

কলকাতার করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘মাস্টার-প্ল্যান’ তৈরি করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা। বস্তুত সেই কারণে এক নোডাল অফিসারকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে পুলিশ ও পুরসভা সমন্বয়ের কাজ শুরু করে দিলে শনিবার রাত থেকেই। বিষয়টি নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা পুরভবনে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম, নগরপাল অনুজ শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিয়োগ করা নোডাল অফিসার তথা আবাসন সচিব ওঙ্কার সিং মিনা এক উচ্চ পর্যায়ের দীর্ঘ বৈঠক করেন। আলোচনা হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, পুরসভা ও পুলিশকে নিয়ে কীভাবে করোনা মোকাবিলায় প্রশাসন কোনও রোগীর ক্ষেত্রেই ‘মুহূর্তকাল’ নষ্ট না করে ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে।




কলকাতায় কোথাও কোনও ওয়ার্ডেই ‘সুপার-লকডাউন’ হচ্ছে না জানিয়ে রাতে মেয়র বলেন, “মানুষ যাতে লকডাউনের আইন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন তা আরও বেশি করে বোঝানো হবে। ভিড় রুখতে বাজারগুলিতে ব্যারিকেড দেবে পুলিশ। একসঙ্গে বেশি সংখ্যায় মানুষ কেনাকাটা করতে কোনও মার্কেটে ঢুকতে পারবে না।” তবে কোনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান পেলে কীভাবে পুলিশ ও পুরসভার বিশেষ টিম সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়বে তার রূপরেখা এদিন বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে বলে মেয়র জানান। করোনায় রোগী মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্যও পুরসভা সম্পূর্ণ করবে পুলিশের সহযোগিতায়।




উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তিতে তিনজনের করোনার উপসর্গ ধরা পড়েছে। বউবাজার ও খিদিরপুরের ফুটপাথবাসীও মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি। বালিগঞ্জের পন্ডিতিয়া থেকে শুরু করে শহরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে করোনা রোগীর সন্ধান পেয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তিলজলা, তপসিয়া, রাজাবাজার, ঢাকুরিয়ার সেলিমপুর রেলকলোনি, চেতলা লকগেট বস্তির মতো ঘিঞ্জি বস্তিতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। বস্তুত এই কারণেই সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও কলকাতা পুরসভা এবার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আরও কড়া নজরজারি শুরু করল।




এদিন মেয়র ও নগরপালের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, স্বাস্থ্য দপ্তর যখনই কোনও রোগীর শরীরে এই জীবাণুর সন্ধান পাবে সেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও পুরসভাকে জানাবেন নোডাল অফিসার। আর তৎক্ষণাৎ ওই এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালু করবে পুলিশ। প্রয়োজনে ব্যারিকেডও দেওয়া হতে পারে রোগীর বাড়ি ঘিরে। এরপর ওই নতুন রোগীর পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ ও পরিজনদেরও ‘হোম-কোয়ারেন্টাইনে’ দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে লালবাজার। সূত্রের খবর, এজন্য আলাদা জোন করে ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারদের দায়িত্ব ভাগ করে দিচ্ছেন অনুজ শর্মা।




বৈঠক শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের বার্তা পাওয়ার পর নতুন যে রোগী পাওয়া যাবে তাঁর বাড়ি ও চারপাশে দ্রুত রাসায়নিক স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করবে পুরসভা। প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাস্ক থেকে স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা প্রচার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।” উলটো দিকে চিনের ইউহান প্রদেশের ধাঁচে কলকাতায় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট স্প্রে করে যে নজির গড়েছেন মেয়র তারও পালটা প্রশংসা করেন নগরপাল অনুজ শর্মা।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন