Telegram Group Join Now
WhatsApp Group Join Now


লাশের পাহাড় আমেরিকায়, তবু লকডাউন তোলার দাবিতে আন্দোলন চলছেই



লাশের পাহাড় আমেরিকায়, তবু লকডাউন তোলার দাবিতে আন্দোলন চলছেই | এখন বাংলা - Ekhon Bengla




চিন, ইউরোপের পর আমেরিকায় ঘাঁটি গেড়েছে করোনার জীবাণু। আর সেই ছোবলে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিন নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে সে দেশ। লাশের পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়েও ব্যক্তি স্বাধীনতা চাইছেন মার্কিনিরা। আর তাই কোথাও দ্রুত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে, আবার কোথাও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমেরিকার রাস্তায় নেমেছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। তাঁদের সকলের একই রা, “আমজনতা নিজেরাই নিয়ম মানতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে। সরকারের তরফে জোর করে নিয়ম মানানোর প্রয়োজন নেই।” ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, এমন ভয়ংকর সংকটের সময়ে দাঁড়িয়ে এই আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেসিডেন্টের উসকানিও রয়েছে। খোদ প্রেসিডেন্টই তো লকডাউনে বিরুদ্ধে।




মৃত্যু মিছিলের সাক্ষী থাকছে বিশ্বের সুপার পাওয়ার। ইতিমধ্যে ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। আক্রান্ত সাত লাখেরও বেশি। কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা। তারপরেও লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতে সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। নিউ হ্যাম্পশায়ারের কনরাড এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন অন্নত ৪০০ জন। কেউ রাস্তায় হাঁটছিলেন, কেউ বা গাড়ি থেকে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। মজার কথা হল, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জমায়েত করতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বিশ্বের প্রাচীন গণতন্ত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতাই যে মূল কথা। আর সেই স্বাধীনতা হাসিল করতেই মার্কিনীদের বার্তা, দেশের যে সমস্ত প্রদেশ গুটিকয়েক আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, সেখানে কোয়ারেন্টাইন বা লকডাউনের প্রয়োজন নেই। সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন কয়েকজন উর্দি ও বন্দুকধারী সেনাও।




আবার টেক্সাসেও একই দাবিতে আন্দোলন হয়। ইয়ং আমেরিকা ফর লিবার্টির সদস্য জাস্টিন গ্রেসিসের কথায়, এবার টেক্সাস পুনরায় চালু করা হোক। মানুষ নিয়ম মেনে লচুক, সরকারি নজরদারির প্রয়োজন নেই। আন্দোলনকারীদের কথায়, আমরা হয়তো চিকিৎসক নই। কিন্তু নিজেদের ভালোটা বুঝি। আর তাই বলছি একাধিক প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই নগণ্য। তাই লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই। আমেরিকাবাসীদের কথায়, “আমাদের লড়াইটা স্রেফ করোনার বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াইটা খিদের, দ্রারিদ্র্যের বিরুদ্ধে। বেকারত্ব বাড়ছে। ব্যবসায় মন্দা দেখা দিচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে লকডাউন এখানেই থামানো উচিত।”




                    


এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন
Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now