পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, মিলবে ১০০০ টাকা
লকডাউনের মাঝে ঘরে ফিরতে না পারা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখে আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের আর্থিক সাহায্য পাঠাবে রাজ্য সরকার। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার জন্য কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। শুক্রবার নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জন্য ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্প ঘোষণা করলেন। বললেন, আগামী সোমবার থেকে অনলাইনে তাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে যাবে। প্রত্যেকে পাবেন হাজার টাকা করে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সবচেয়ে আগে ভেবেছিলেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন, লকডাউন চলাকালীন ওই শ্রমিকদের দায়িত্ব যেন নেয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সেই চিঠির সর্বপ্রথম উত্তর দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বস্ত করেছিলেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতার সুহৃদ বলে পরিচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। এই রাজ্যে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের জন্য নবান্ন বেশ কয়েকটি সুযোগসুবিধা চালু করা হয়েছিল। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়িভাড়া দিতে না পারলে, জোর করা যাবে না, একমাস অপেক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন। পাশাপাশি, রাজ্যবাসীর মতো তাঁদেরও বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার সুবিধায় অস্থায়ী রেশন কার্ডও চালু হয়।
তারপর বাড়ি ফেরার তাগিদে দিল্লির আনন্দবিহার, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় দেখেছে দেশবাসী। তারপর তাঁদের প্রতি আরও মানবিক হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সিদ্ধান্ত, বাইরে থাকা বাংলার শ্রমিকদের হাতখরচ পাঠাবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্তকেই আরও পাকাপোক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে তাঁর ঘোষণা, ‘স্নেহের পরশ’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে পাঠানো হবে। সোমবার থেকে অনলাইনে এই পরিষেবা চালু হবে। কাজ হারিয়ে তাঁরা যাতে অসহায় বোধ না করেন, লকডাউন ভেঙে বাড়ি ফেরার চেষ্টা না করেন, তার জন্য তাঁর এই প্রচেষ্টা। এই ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিক মহলে স্বস্তির হাওয়া।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়