WhatsApp Channel Join Now
Google News Follow Now


OMG! সু্টকেসে ভরে বন্ধুকে বাড়িতে আনার ফন্দি, শ্রীঘরে দুই কিশোর








OMG! সু্টকেসে ভরে বন্ধুকে বাড়িতে আনার ফন্দি, শ্রীঘরে দুই কিশোর | এখন বাংলা - Ekhon Bengla

লকডাউনে কিছুতেই সময় কাটতে চাইছে না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার উপায় নেই। কারোর বাড়িতে যাওয়া-আসার পথ বন্ধ। বাড়িতে বসে-বসে একা একা সময় কাটে নাকি! তাই লকডাউন চলাকালীন বন্ধুকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতে চেয়েছিল এক কিশোর। কিন্তু তাঁর সেই আরজি  পত্রপাঠ নাকচ করে দেন হাউজিং সোসাইটির সদস্যরা। বন্ধুকে বাড়ি নিয়ে আসতে অগত্যা এক অভিনব ফন্দি আঁটে সে। তবে সেই ফন্দি খেসারত গুনতে তাকে যে হাজতবাস করতে হবে, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সেই কিশোর। কী সেই ফন্দি, যার জন্য দুই বন্ধুকে জেলে যেতে হল?




বিশাল এক সুটকেসে বন্ধুকে ভরে ফেলেছিল ম্যাঙ্গালোরের ওই কিশোর। ভেবেছিল সেই সুটকেস নিয়ে অনায়াসে হাউজিং সোসাইটিতে ঢুকে পড়বে সে। কিন্তু এ কী! সেই সু্টকেস যে এতটা ভারী হবে তা কে জানত! হাতে তোলা তো দূরের কথা, রাস্তা দিয়ে রীতিমতো টেনে হিঁচরে সেই সুটকেস নিয়ে আসছিল ওই কিশোর। স্বভাবতই বিশ্রীভাবে সুটকেসটি ফুলেও ছিল। এর মধ্যে রাস্তায় থাকা স্পিডব্রেকারে সু্টকেসটির ধাক্কা লাগে, আর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগে ভিতরে থাকা আরেক কিশোর নড়ে ওঠে। যা দেখে হাউজিংয়ের অন্য বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরকে তাঁরা ওই সুটকেসটি খুলতে বলেন। প্রথমে নানা ছলচাতুরি করে তাঁদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সেই কিশোর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।




ব্যাগ খুলতেই উপস্থিত সকলের চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, সেই সুটকেসের ভিতরে হাত-পা মুড়ে শুয়ে আছে আর এক কিশোর। এই ঘটনায় রবিবার এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুই কিশোরকেই আটক করে. পরে তাদের জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়।




হাউজিং সোসাইটির সদস্যরা জানিয়েছেন, “বিত্তশালী পরিবারের কিশোর একাই ওই অ্যাপর্টমেন্টে থাকে। লকডাউনের পর থেকেই বন্ধুকে ফ্ল্যাটে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে আমরা রাজি হইনি। কিন্তু সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা কে জানত!”





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন