বাংলার মানুষকেই অপমান করছে বিরোধীরা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: করোনা ও আমফানের জোড়া ফলায় ‘বিদ্ধ’ বাংলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্য সরকার। কঠিন এই সময়েও শুধুমাত্র রাজনীতি করতেই বিতর্ক তৈরি করে দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করছেন বিরোধীরা, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের শুরু থেকে সমালোচনা করে আসছে বিরোধীরা। রাজ্য করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রকৃত তথ্য চেপে যায় বলে দাবি বিরোধীদের। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এবিষয়ে রাজ্যকে দুষে একের পর এক মন্তব্য করেন। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকারও। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি জানতে পশ্চিমবঙ্গে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। যা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে ওঠে।
করোনার সংক্রমণ বাংলায় বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফান-এর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলার একাংশ। কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সুপার সাইক্লোন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্য স্বাভাবিক করার কাজ করছে প্রশাসন। এতকিছু সত্ত্বেও বিতর্ক তৈরি করে বাংলার মানুষকেই অপমান করছে বিরোধীরা, কটাক্ষ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
মুখ্যমন্ত্রী করোনা ও আমফান মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন বলে দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমফান ও করোনার মতো মারণ রোগের মোকাবিলা করছে রাজ্য সরকার। গত ১০০ বছরে কোনও সরকার এমন রোগ ও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের একসঙ্গে মোকাবিলা করেনি। কঠিন সময় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা বিতর্ক তৈরি করছেন, তাঁরা বাংলার মানুষকে অপমান করছেন।’
এরই পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়েও কেন্দ্রকেই দুষেছেন পার্থ। তাঁর সাফ কথা, ‘নোটবাতিল, জিটএসটির মতোই লকডাউনও আচমকা করা হয়। কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেই পরিযায়ী শ্রমিকরা চূড়ান্ত অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।’
এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়ার ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)