লাদাখে সীমান্ত সংঘাত চরমে, চিনকে রুখতে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহি 





লাদাখে সীমান্ত সংঘাত চরমে, চিনকে রুখতে তৈরি হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী







নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত। চাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কয়েক দশক পর রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। শহিদ হয়েছেন ২০ জওয়ান। দু’মাস পেরোনোর পরেও সমাধান মেলেনি। একের পর এক চিনা আস্ফালন চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের যে কোনও গোপন কার্যকলাপ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী।




জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীতেও। জানা যাচ্ছে, ভারত মহাসাগরে চিনের উপর চাপ তৈরি করবে ভারতীয় নৌবাহিনী। কয়েক মাসে ভারত মহাসাগরেও বেড়েছে চিনের দাদাগিরি। একাধিক চিনা নৌবাহিনী, সাবমেরিনকে নজরে রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এবার সেখানে যাতে চিনের দাদাগিরি রুখে দেওয়া যায় সেজন্যে ইন্ডিয়ান নেভিকে তৈরি রাখতে বলা হয়েছে।




লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের ৫০ দিন পেরিয়েছে। চিন এরমধ্যে ভারতের ভূখন্ডের উপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করছে। লাল চিনের তরফে যেকোনওরকম অপ্রত্যাশিত হামলা রুখে দিতে ট্যাঙ্ক, অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তৈরি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে লাদাখ সীমান্ত জুড়ে সমারাস্ত্রের ভান্ডারকে মজবুত করেছে ভারত। স্থলবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




বাণিজ্যিকভাবে শক্তিশালী চিন মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের দেশগুলিতে এনার্জি এবং পণ্য পরিবহনে ভারত মহাসাগরকে ব্যবহার করে। যার একটি অংশ ভারতের মধ্যে আসে।




জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা বোর্ড এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের তরফে একটি ‘ফাইভ-পয়েন্ট’ উপদেশ দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারকে। প্রথমত, ভারত মহাসাগরে সমুদ্রপথে চিনের যাতায়াতকে আরও কঠিন করা হবে। দ্বিতীয়ত, ভারত মহাসাগরে চিনের যাতায়াত অস্বীকার করা হবে।




তৃতীয়ত, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অংশ আরও শক্তিশালীভাবে মোতায়েন করা হবে এবং শক্তি প্রদর্শন করা হবে। চতুর্থত, দক্ষিণ চিন সাগরের ‘নিরপেক্ষ অবস্তানে’র নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। পঞ্চমত, এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতন দেশের সঙ্গে চূক্তি বাড়াতে হবে।




চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে যেহেতু ভারত মহাসাগরকে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব তাই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় নিরলসভাবে ধনসম্পত্তি এবং ঘাঁটি গেঁড়ে চলেছে লাল চিন।




২০১৭-২০১৮ সালে সমুদ্রপথে ভেসেল এবং নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ব্যবহার করে একাধিকবার অনধিকার প্রবেশ চালিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সন্দেহজনক গবেষণা ভেসেল ধরা পরে আন্দামান দ্বীপে। ওই বছরেই ডিসেম্বর মাসে তিনটি মিলিটারি ভেসেল পাকিস্তানের উদেশ্যে রওনা হতেও দেখা গিয়েছে।




নৌসেনাকে এই পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা উচিত কিনা এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে দেশের একাধিক নৌসেনার একাধিক প্রাক্তনীর সঙ্গে ইন্ডিয়া টুডের তরফে কথা বলে দেখা গিয়েছে, চিনের আগ্রাসনে লাগাম দিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রয়োজন। সমুদ্রপথে চিনকে আটকানো ঠিক কতটা প্রয়োজন। স্থলপথে চিনকে আটকানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন অনেকে, তাই ভরসা নৌবাহিনী।





এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়




এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।


Source : Open




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।


নবীনতর পূর্বতন