টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়, ঘর ছেরে নিরাপদ আশ্রয়ে বহু মানুষ

টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়, ঘর ছেরে নিরাপদ আশ্রয়ে বহু মানুষ

নিউজ ডেস্ক : টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরদিনাজপুর জেলার নাগর, টাঙ্গন, সুধানী, কুলিক নদীর জল বেড়েই চলেছে। ফলে নদীর আশে পাশের গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করায় আতংকিত এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে বহু মানুষ বাড়ি ছেরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। রায়গঞ্জের কুলিক নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় শহরের পৌর এলাকার কিছু কিছু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জল ঢুকে পরায় চিন্তিত সাধারন মানুষ। বাড়িতে বাড়িতে জল ঢুকে পরায় বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে, রেল লাইনের ধারে ত্রিপল টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সাধারন মানুষরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে নদীর জল বাড়ার ফলে বাড়িতে বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। তাই তারা আতংকিত হয়ে ঘর ছেরে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জেলার ২০১৭ সালের বন্যা পরিস্থিতিকে আবার স্মরন করিয়ে দিচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় নৌকার ব্যবস্থা করে রাখা আছে।
রায়গঞ্জ পৌর সভার পুরপিতা সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, লাগাতার বৃষ্টির ফলে নদীর জল বেরে যাওয়ায় চিন্তিত। তবে জেলা শাসকের সাথে ইতিমধ্যেই বন্যার ব্যাপারে কথা হয়েছে। সাধারন মানুষরা যাতে কোন অসুবিধাতে না পরে সেই দিক দিয়ে সতর্ক রয়েছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সাধারন মানুষদের ত্রিপল বিলিকরা হয়েছে। যারা এখন গৃহহীন রয়েছেন তাদের খাওয়া, জলে জন্য যাতে কোন অসিবিধা না হয় সেদিকেও নজর রেখেছে পুর কর্তৃপক্ষ। 

টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়, ঘর ছেরে নিরাপদ আশ্রয়ে বহু মানুষ

অন্যদিকে মহানন্দা নদীর জল বেরে যাওয়া ইটাহারের কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে নদীর জল ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো বন্যার আশঙ্কায় ভুগছে। ইটাহার থানার মহানন্দা নদী তীরের সুরুন এক ও গুলন্দর দুই অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে এমনি ছবি লক্ষ করা যায়।  সরুন ১ অঞ্চলের বাড়িওল, গোড়াহার সহ অন্যান্য  গ্রামের  বাসিন্দা মিরাজ আলম বলেন ২০১৭ সালে যেভাবে বন্যা হয়েছিল এবারো সেরকম বন্যা হবে বলে মনে করছি। কেননা মহানন্দা নদীর জল বেরে আমাদের বাড়ি ঘর আশেপাশের বাড়িঘরে ও পাশ্ববর্তী গ্রামের বাড়ি গুলোতে ঢুকে যাওয়ায় আমরা খতিগ্রস্ত হয়ে পরেছি। এমনকি অনেক ফসলের জমি জলের তলায় চলে গেছে। এমন অবস্থায় অনেকেই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোন সরকারী ভাবে সাহায্য পাওয়া যায়নি, এমনকি এলাকার মহানন্দা সংলগ্ন বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। যেকোন সময়ে বিপদ হতে পারে, তাই আগের বারের বন্যার মতো যেন আমাদের অবহেলা না করা হয় তাই আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে সমস্ত সরকারের কাছে নজরে আনতে চাই।  আগের বন্যায় অবহেলিত করে রেখেছিলো। তাই আগে থেকেই সরকারী ভাবে সব ধরনের সহযোগিতা যেন করে সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা। 

টানা বৃষ্টিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়, ঘর ছেরে নিরাপদ আশ্রয়ে বহু মানুষ

যদিও এব্যাপারে এলাকার জেলা পরিষদের সদস্যা বিউটি বেগম বলেন কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে  আমার নির্বাচিত এলাকায় মহানন্দা নদীর ধারে কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে ও ফসলের জমিতে মহানন্দা নদীর জলে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে, বিষয়টি স্হানীয় পঞ্চায়েত সহ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ব্যাবস্হা নিচ্ছি, এমনকি ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য্য সহ প্রশাসনের নজরে বিষয়টি ইতি মধ্যে আনা হয়েছে ফলে পরিবার গুলোকে সব ধরনের সহযোগিতা করা যায় তার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।




এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।

(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।
নবীনতর পূর্বতন