BLO App Update: BLO অ্যাপে বড় আপডেট! এবার সহজেই ধরা পড়বে নকল ভোটার, জানুন নতুন অপশনের খুঁটিনাটি
BLO App Update: নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকাকে স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি BLO (Booth Level Officer) অ্যাপে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আনা হয়েছে। এই নতুন অপশনটি মূলত ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি ‘ফিল্টার’ বা ছাঁকনি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার ডুপ্লিকেট বা নকল ভোটারদের সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব অ্যাপের এই নতুন ফিচারটি কীভাবে কাজ করে এবং বিএলও-দের ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডুপ্লিকেট ভোটার ভেরিফিকেশন কী?
BLO অ্যাপের ইন্টারফেসে একদম নিচের দিকে ‘Duplicate Elector Verification’ নামে একটি নতুন অপশন যুক্ত করা হয়েছে। এই অপশনটিতে ক্লিক করলে একজন নির্দিষ্ট বিএলও-র আওতাধীন এলাকায় যতজন সম্ভাব্য ডুপ্লিকেট বা দ্বৈত ভোটার রয়েছেন, তাদের একটি তালিকা প্রদর্শিত হবে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, অ্যাপে যাদের নাম দেখানো হচ্ছে, তারা সবাই যে নিশ্চিতভাবে নকল ভোটার, তা কিন্তু নয়। এটি একটি প্রাথমিক তালিকা মাত্র, যা যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
কাদের নাম ডুপ্লিকেট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে?
নির্বাচন কমিশনের সফটওয়্যার অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মূলত যাদের নাম এবং তাদের আত্মীয়ের নাম (যেমন পিতার নাম) অন্য কোনো বিধানসভা কেন্দ্র বা একই বিধানসভার অন্য কোনো ব্যক্তির তথ্যের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে, তাদের নামই এই তালিকায় উঠে আসছে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার এলাকায় ‘ উদয় কুন্ডু’ নামে একজন ভোটার আছেন এবং তাঁর পিতার নাম ‘ বিমান কুন্ডু’। যদি অন্য কোনো জায়গায় ঠিক একই নাম এবং একই পিতার নামের আরেকজন ভোটারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তবে সিস্টেম ধরে নিচ্ছে যে এই দুই ব্যক্তি সম্ভবত একই এবং তাঁর দুটি আলাদা জায়গায় ভোটার কার্ড রয়েছে।
এই নতুন অপশনটি দেখে বিএলও-দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি কেবল একটি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। অ্যাপে নাম আসলে বিএলও-দের নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
সরেজমিনে যাচাই (Verification): বিএলও-কে ওই নির্দিষ্ট ভোটারের বাড়িতে সশরীরে যেতে হবে।
তথ্য সংগ্রহ: ভোটারকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে হবে যে তাঁর অন্য কোনো জায়গায় ভোটার কার্ড আছে কি না বা তিনি অন্য কোথাও নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন কি না।
নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে বিএলও-দের অ্যাকশন প্ল্যান বোঝানো হলো:
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যদি কোনো ভোটার মিথ্যা তথ্য দেন (অর্থাৎ অন্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও অস্বীকার করেন) এবং বিএলও সেই অনুযায়ী রিপোর্ট করেন, তবে ভবিষ্যতে বিএলও-র কোনো সমস্যা হবে কি না। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে বিএলও-র ওপর কোনো দায় বর্তাবে না। কারণ, একজন বিএলও-র পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে ওই ব্যক্তি গোপনে অন্য কোথাও ভোটার কার্ড রেখেছেন কি না। বিএলও শুধুমাত্র ভোটারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট করবেন।
85+ রিভেরিফিকেশন: ৮৫ বছরের বেশি বয়সী ভোটাররা জীবিত আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করা।
ASD রিভেরিফিকেশন: Absent (অনুপস্থিত), Shifted (স্থানান্তরিত) বা Dead (মৃত) ভোটারদের স্ট্যাটাস যাচাই করার সুবিধা।
পরিশেষে বলা যায়, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকাকে নির্ভুল করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। তবে এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবে কত শতাংশ ডুপ্লিকেট ভোটার কমানো সম্ভব হবে, তা সময় এবং সঠিক প্রয়োগের উপরই নির্ভর করবে।
আরোও পড়ুন লক্ষী ভান্ডার এখন অতীত! নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেককে 2000 করে টাকা দেওয়া হবে
আরোও পড়ুন মাত্র ২৪৯ টাকায় ৪৫ দিনের প্ল্যান! BSNL-এর নতুন অফারে টেলিকম দুনিয়ায় হইচই
আরোও পড়ুন WB Govt Employee: রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর? ১০% ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা!
