‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ মাথায় তুলে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পরই মোমবাতি কেনার ভিড় ব্যবসায়ীদের
শুক্রবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আবেদন করে জানান, রবিবার ৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় ৯ মিনিট বাড়ির আলো বন্ধ করে দরজা, ছাদ বা ব্যালকনিতে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে থাকতে হবে। আর এই আবেদনের পরই নিবেদিতা মার্কেটে পাইকারি দোকানগুলিতে মোমবাতি কিনতে অনেক মুদিখানা দোকানের ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন।
নানা দামের মোমবাতি ছিল। কিন্তু এক নিমেষেই সব বিক্রি হয়ে গেল। ব্যবসায়ী অজয় দাস জানান, “দোকানের জন্য মোমাবাতি কিনেছি। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দোকান থেকে সব মোমবাতি বিক্রি হয়ে যাওয়ায় দোকানও বন্ধ হয়ে যায় তড়িঘড়ি।”
মূলত, এদিন সকালে ফের জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৯ টায় গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হন তিনি। অনুমান করা গিয়েছিল যে তিনি, করোনা ভাইরাস বা লকডাউন সম্পর্কিত কোনও ঘোষণা করতে পারেন। এদিন ভিডিও বার্তায় মোদী দেশবাসীকে লকডাউন পালনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।এছাড়াও তিনি বলেন, ২২ মার্চ যেভাবে গোটা দেশবাসী করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া মানুষদেরকে তালি বাজিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। মোদী বলেন, “লকডাউনে সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। এই সময়ে কোথাও জমায়েত করবেন না। ১৩০ কোটির শক্তি সবার সঙ্গে আছে। করোনার বিরুদ্ধে আমরা জিতবই।”
এর সঙ্গে মোদী দেশবাসীকে অনুরোধ করেন ঠিক যেভাবে তারা ২২ মার্চ ‘জনতা কার্ফুর’-এর দিন একজোট হয়েছিল আগামী ৫ এপ্রিলও সমগ্র দেশবাসীকে তাদের মহাশক্তির জাগরণ করতে হবে। মোদী বলেন, “৫ এপ্রিল নতুন সংকল্প নেবে দেশবাসী। এদিন রাত ৯ টায় ৯ মিনিটের জন্য নিজের বাড়িতে ব্যালকনি কিংবা জানলার সামনে আলো বন্ধ করে টর্চ, মোমবাতি, প্রদীপ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে রাখুন।”
“এতে বোঝা যাবে সকলে একসঙ্গে আছি। লকডাউনের মধ্যেও কেউ একা নন। এর ফলে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। দুনিয়ার কোনও শক্তি হারাতে পারবে না। লকডাউনে সরকারের কথা আপনারা যেভাবে পালন করেছেন তা এক কথায় অভুতপূর্ব”, বলেছেন মোদী। তবে দেশবাসী আশা করেছিল যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিছু কঠিন পদক্ষেপ নেবেন, কিন্তু মোদীর এই হেন বক্তব্য কিছুটা হতাশই করেছে সকলকে।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়