‘মানুষকে সচেতন করতে বেরোব, আমার করোনা হলে হোক’, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
দেশজুড়ে ক্রমশ দাপট বাড়াচ্ছে করোনা। আর তাকে প্রতিহত করতে ততই তৎপর হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবারও পথে নেমে রাজ্যবাসীকে লকডাউন মানতে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে করোনা নিয়েও আশ্বাস দেন তিনি। এ নিয়ে টানা তিনদিন রাস্তায় নামলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ভূমিকার প্রশ্ংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যবাসী।
করোনা যুদ্ধে একবারে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। স্রেফ নিয়ম, নির্দেশ দিয়েই দায় সারেননি তিনি। বরং বারবার রাস্তায় নেমে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও রাস্তায় নেমে বাজার, হাসপাতালে হালহকিকত খতিয়ে দেখেছেন। কখনও আবার চক দিয়ে গন্ডি কেটে সামাজিক দূরত্বের পাঠ পড়িয়েছেন তিনি। আবার কখনও মাস্ক বিলি করেছেন। করোনার দাপটে গোটা রাজ্য যখন জড়োসড়ো, তখনও নিজের কর্তব্যে অবিচল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মৌলালি এলাকায় হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে লকডাউন চলছে বলে গাড়ি থেকে এদিন রাস্তায় নামেননি তিনি। গাড়িতে বসেই মাইকের মাধ্যমে সচেতনতার প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমেই লকডাউনে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, “আপনাদের অসুবিধার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু করোনাকে হারাতে ঘরেই থাকতে হবে। শান্ত থাকুন। ঘরে থাকুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।” একইসঙ্গে, তিনি শহরবাসীর মনে সাহস জুগিয়ে বলেন, “করোনা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুলিশকে জানান। ওঁদের সাহায্য নিয়ে হাসপাতালে যান।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মানুষের পাশে আমরা থাকবই। করোনা ভাইরাসকে আমরা ভয় পাই না। মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় বের হচ্ছি। তাতে যদি আমার করোনা হয়, হোক।” তাঁর এই রাস্তায় বের হওয়াকে বারবার কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন ভাঙছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ মুখ্যমন্ত্রী তারই জবাব দিলেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়