‘বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছিল’, ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার



‘বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছিল’, ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার




 ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট কিট। তাই আগামী দু’দিন সমস্ত ব়্যাপিড টেস্ট কিটের ব্যবহার বন্ধ রাখা হোক। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই নির্দেশই দিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারপরই সব রাজ্য থেকে ত্রুটিপূর্ণ কিট ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বাংলাকে অকারণ বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর প্রশ্ন, “টেস্ট না হলে রোগী মারা যাবে। কে নেবে তার দায়?”




কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বাংলায় পা রাখার পর থেকেই তুঙ্গে ওঠে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। আগে থেকে কিছু না জানিয়ে কেন্দ্র প্রতিনিধি দল পাঠানোয় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বাংলা সফর নিয়ে রাজ্যকে চিঠি এবং রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে পালটা চিঠির পর্ব চলে বুধবার পর্যন্ত। সেই তরজায় ইতি পড়তে না পড়তেই টেস্ট কিট নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তিন ধরনের টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছিল। ব়্যাপিড টেস্ট কিট, BGI RT-PCR কিট আর অ্যান্টিজেন কিট। এই অ্যান্টিজেন কিটটি আবার বাংলায় পাওয়া যায় না। তাও স্বাস্থ্যদপ্তর নিজের উদ্যোগে বাইরে থেকে অর্ডার দিয়েছিল। তবে তা কবে পাওয়া যাবে জানি না। তিন ধরনের কিটই ফিরিয়ে নিল ওরা। এই যে বারবার বলা হচ্ছিল বাংলায় নাকি টেস্ট করানো হচ্ছে না। এবার তাহলে কী বলবে? কীভাবে হবে টেস্ট?” সঙ্গে জুড়ে দেন, “বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছিল। এবার কী উত্তর দেবে ওরা?”




মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে টেস্টের জন্য ১৪ হাজার PCR কিটের প্রয়োজন ছিল। কেন্দ্র দিয়েছিল ২৫০০ হাজার। নিজের কর্তব্য পালন না করে বাংলাকে বদনাম করতেই ব্যস্ত কেন্দ্র। নিজের মন্তব্যে সেই ইঙ্গিতই দিলেন মমতা।




এদিকে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭০৩৭টি টেস্ট হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৮৫৫টি টেস্ট। যার মধ্যে ২৬টি পজিটিভ। এছাড়াও মালদহে হয়েছে ৮৫টি টেস্ট। সবকটিই নেগেটিভ এসেছে বলে জানান মুখ্যসচিব। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। বর্তমানে রাজ্যে চিকিৎসাধীন মোট ৩০০ জন আক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৭৯ জন।





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন