WhatsApp Channel Join Now
Google News Follow Now


চূড়ান্ত গাফিলতি! কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালালেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ



চূড়ান্ত গাফিলতি! কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালালেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ




 কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মিলছে না খাবার। শৌচাগারের অবস্থাও তথৈবচ। তাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছেড়ে ১৭ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরে গেলেন করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে তিনি পালিয়ে এলেও খবর জানতই কর্তৃপক্ষ। বরং বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের উদ্যোগে তাঁকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ফেরানো হয়। পুণের এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক করোনা আক্রান্ত দীর্ঘ পথ হেঁটে যাওয়ায় আতঙ্কও তুঙ্গে উঠেছে।




মঙ্গলবার সন্ধেয় পুণের ইয়ারওয়াদা এলাকায় বাসিন্দারা দেখেন, বাড়ির বাইরে ৭০ বছরের বৃদ্ধ বসে রয়েছেন। বৃদ্ধের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই সেই বাড়িটি তালা দেওয়া রয়েছে। এবং বাড়ির সদস্যদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্রতিবেশীরা ওই অসহায় বৃদ্ধকে বাড়ির বাইরে বসে থাকতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনকে তখনই খবর দেয় তারা। প্রশাসনিক কর্তারা এসে তাঁকে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু তিনি ফিরতে রাজিন হচ্ছিল না। এরপর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে ওই বৃদ্ধের ছেলেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। তিনি প্রায় দুঘণ্টা ধরে বুঝিয়ে বৃদ্ধকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।




এ প্রসঙ্গে ইয়ারাওয়াদা এলাকার করপোরেটর সিদ্ধার্থ ধেন্ডে বলেন, “ওই বৃদ্ধকে দ্রুত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছি। এটাও জানতে পেরেছি, স্থানীয় প্রশাসন ওই বৃদ্ধের পালিয়ে আসার কথা জানত পর্যন্ত না।” তিনি আরও জানান, ২৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ওই বৃদ্ধকে প্রথমে খারাডির রক্ষকনগর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। পরেরদিন পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই তাঁকে বালেওয়াদির NICMAR’-এ পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে পরিষেবা নিয়ে বারবার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। 




তবে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে এক বৃদ্ধ বেরিয়ে চলে গেলেন, অথচ সে সম্পর্কে প্রশাসন কিছুই জানতে পারল না কেন? আবার লম্বা রাস্তা একজন করোনা পজিটিভ ব্যক্তি হেঁটে এলেন। কে কে তাঁর সংস্পর্শে এলেন, তা নিয়েও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের আশ্বাস, গোটা রাস্তায় ওই বৃদ্ধ কারোর সংস্পর্শ আসেননি। 





এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়


Source : sangbadpratidin


নবীনতর পূর্বতন