ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক হতে পারে মে’র প্রথম সপ্তাহে!
ভারতে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে জারি থাকবে লকডাউন। কিন্তু তারপরও আশার আলো কতদূর দেখা যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে ভারত। এই সময়ই সমগ্র দেশে বাড়বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একটি অভ্যন্তরীণ সরকারি মূল্যায়ন থেকে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে পারে। যদিও দেশজোড়া লকডাউনের প্রভাবে এই সংখ্যা থাকবে অনেকটাই কম। যে সব রাজ্যগুলি প্রথম থেকেই কঠোরভাবে লকডাউন পালন করেছে, সংকট দেখা দিলেও তাদের উপর প্রভাব অনেকটাই কম হবে।
এক সিনিয়র অফিসার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “পরের এক সপ্তাহ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরীক্ষা শুরু হবে দেশ। যাদের মধ্যে যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হবে, তাদের সবাইকে পরীক্ষা করা হবে।” তাঁর মতে, সরকার মনে করছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে পরীক্ষা। এছাড়া মানুষকে আউসোলেশন করাও বাড়তে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সপ্তাহের শুরুতে লডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। আইসোলেশনে বা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এগুনতি মানুষ। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই পরীক্ষা করা হবে বলে খবর।
দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে যে সংক্রমণের হার কমেছে, তার উদাহরণও দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের মধ্যে প্রথম লকডাউন ঘোষিত হয় রাজস্থান, পাঞ্জাব ও বিহারে। অপেক্ষাকৃত অনেক পরে লকডাউন হয় উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে। যতদিনে এই রাজ্যগুলিতে লকডাউন ঘোষিত হয়, ততদিনে আক্রান্ত অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তুলনামূলকভাবে তাই আক্রান্তের নিরিখে রাজস্থান, পাঞ্জাব ও বিহারে করোনা সংক্রমণ অনেক কম। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে এখন দেশের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। মৃতের সংখ্যাও বেশি এই রাজ্যে। সময়মতো লকডাউন না করার জন্যই পরিস্থিতি আজ এখানে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়