লকডাউনে শিলিগুড়িতে আটকে বধূ, মাকে কাছে না পেয়ে অসুস্থ নাবালিকা
লকডাউনে শিলিগুড়িতে আটকে মা। বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মেয়ে। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে ওই বধূকে বনগাঁর বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা করলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। কিছুতেই মিলছে না অনুমতি। মেয়েকে নিয়ে প্রবল সমস্যায় বনগাঁর রেলবাজারের পল্লিশ্রীর উত্তম সরকার।
লকডাউনের আগে স্বামী ও মেয়ে শ্রেয়াকে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কাজে শিলিগুড়িতে বাপের বাড়ি যান ওই বধূ। এরপরই করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়ে জারি হয়ে যায় লকডাউন। ফলত বাপের বাড়িতেই আটকে পড়েন ওই বধূ। একাধিক উপায়ে বনগাঁয় ফেরায় চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন তিনি। কিন্তু মাকে চোখের সামনে দেখতে না পেয়ে কেঁদে অস্থির মেয়ে। কিছুতেই পরিস্থিতি বোঝানো সম্ভব হয়নি ওই নাবালিকাকে। উলটে কান্নাকাটির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ভরতি করা হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে ফিরতেই ফের মায়ের জন্য ব্যকুল সে। কী উপায়? বিষয়টি জানতে পেরে গাড়ি পাঠিয়ে বধূকে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ।
গোটা বিষয়টি জানিয়ে ওই নাবালিকার বাবা উত্তমবাবু পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি। নাবালিকার শারীরিক অবস্থার কথা জানার পরও কোনওভাবেই উত্তরবাবুর স্ত্রীকে এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার অনুমতি দেননি বনগাঁ থানার আইসি। শেষে ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, নাবালিকা যে অসুস্থ হাসপাতাল থেকে তাঁর প্রমাণ পত্র এনে দিতে হবে, এরপর ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন তাঁরা। এরপর বনগাঁ হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন ওই নাবালিকার বাবা। কিন্তু গোটা পরিস্থিতি জানা সত্ত্বে পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়