‘বন্ধুত্ব প্রতিশোধের বিষয় নয়’, জীবনদায়ী ওষুধ রপ্তানি ইস্যুতে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাহুলের
ইস্যু হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি। যা নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম আন্তর্জাতিক কূটনীতি। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) খোঁচা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিলেন, জীবনদায়ী ওষুধগুলি আগে ভারতবাসীর জন্য সরবরাহ করুন। তারপর বিদেশে রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।
Friendship isn’t about retaliation. India must help all nations in their hour of need but lifesaving medicines should be made available to Indians in ample quantities first.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 7, 2020
করোনা মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। যা কিনা এই মুহূর্তে আমেরিকায় অপ্রতুল। ভারতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মজুত রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভারতও সেটাই করছিল। কিছুদিন আগেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু সবকিছু বদলে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি ফোনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানির দাবিতে একপ্রকার হুমকি দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনের সময় ভারত যদি আমেরিকায় এই জীবনদায়ী ওষুধ না পাঠায়, তাহলে বদলা নিতে পিছপা হবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোনে ‘হুমকি’ দিতেই গর্জে উঠলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ট্রাম্পকে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, ‘বন্ধুত্ব প্রতিশোধের বিষয় নয়’। সেই সঙ্গে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। কংগ্রেস সাংসদ নিজের টুইটে বললেন, “বন্ধুত্ব প্রতিশোধের বিষয় নয়। বিপদের সময় সব দেশকেই সাহায্য করা উচিত ভারতের। কিন্তু তার আগে নিশ্চিত করতে হবে জীবনদায়ী ওষুধগুলি যেন ভারতীয়রা যথেষ্ট পরিমাণ পায়।” যদিও রাহুলের পরামর্শ শোনেনি কেন্দ্র। মানবিকতার খাতিরে করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলিতে এই ওষুধ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
এমনিতে ট্রাম্প এবং মোদির বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত। কিন্তু নিজের দরকারে বন্ধুত্বের আদর্শ ভুলে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। সেই মোক্ষম সময়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন রাহুল গান্ধী। বোঝাতে চাইলেন, মোদি যতই ট্রাম্পকে নিয়ে নাচানাচি করুন না কেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে বিশ্বস্ত বন্ধু নন। অন্যদিকে তাঁর ইঙ্গিত, আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে দেশবাসীর কথা না ভেবে বিদেশে ওষুধ রপ্তানি করতে বাধ্য হল ভারত। অর্থাৎ কঠিন সময়ে মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন মোদি।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়