মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় শামিল হুগলির খুদে, ত্রাণ তহবিলে দিল জমানো টাকা



মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় শামিল হুগলির খুদে, ত্রাণ তহবিলে দিল জমানো টাকা | এখন বাংলা - Ekhon Bengla




দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনা শুধু বড়দের নয়, প্রভাব ফেলেছে শিশু মনেও। তাই পয়লা বৈশাখের নতুন জামা হাতে পেয়ে কেঁদে ভাসিয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার রথতলার ত্রিজিতা। কারণ, এই নববর্ষে নিজের জন্য জামা নয়, ঘটে জমানো টাকা দিয়ে সকলের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছে খুদে। তাতেই সম্মতি দিয়ে ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করলেন সিংহ দম্পতি।




চুঁচুড়ার রথতলার বাসিন্দা সৌমিত্র সিংহ ও তাঁর স্ত্রী মৈত্রেয়ী। তাঁদের সন্তান বছর ন’য়েকের ত্রিজিতা। করোনা আবহের মাঝেও পয়লা বৈশাখে মেয়ের জন্য জামা কিনতে ভোলেননি সিংহ দম্পতি। ভেবেছিলেন জামা পেয়ে আহ্লাদে আটখানা হবে খুদে। কিন্তু নাহ, বাবার হাত থেকে জামা পেয়েই রীতিমতো কান্নাজুড়ে দেয় সে। বলতে থাকে, “বাবা করোনায় বহু লোক মারা যাচ্ছে। অনেকে খেতে পাচ্ছে না। আমি নতুন বছরে কোনও জামা চাই না। যারা খেতে পাচ্ছে না তাঁদের ওই জামার টাকাটা তুমি দিয়ে দাও।” মেয়ের কথা মানসিকতাই বদলে দেয় সিংহ দম্পতির। সঙ্গে সঙ্গে এই কঠিন সময়ে সাধ্য মতো সকলের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।




ত্রিজিতা বাবা – মাকে জানায়, সে ঘটে জমানো টাকাও দিতে চায় ত্রাণ তহবিলে। অগত্যা মেয়ের কথাতে সম্মতি দেন সিংহ দম্পতি। এরপর সোমবার হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের হাতে ২ হাজার টাকার চেক তুলে দেয় ওই খুদে। মেয়ের চিন্তাভাবনা নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে, এমনটাই জানালেন সৌমিত্র-মৈত্রেয়ী। তবে এখন বেজায় খুশি ত্রিজিতা। তার একটাই প্রার্থনা, তাড়াতাড়ি সেরে যাক বিশ্বের এই অসুখ, ভাল হোক সক্কলের। এর আগেও করোনা সংকট কাটাতে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক খুদে। সেই তালিকায় নতুন নাম জুড়ল হুগলির ত্রিজিতা সিংহ। 






এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়



নবীনতর পূর্বতন