বাঘকে দেখে শিক্ষা, করোনা সংক্রমণ এড়াতে ছাগলকে মাস্ক পরালেন এক ব্যক্তি
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র হাতিয়ার সাবধানতা অবলম্বন। লকডাউনে গৃহবন্দি থাকা ছাড়া কোনও গতি নেই। একান্ত বেরোতে হলেও মাস্ক ছাড়া নৈব নৈব চ! এই পরিস্থিতিতে মানুষ নয় নিজের প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু পশুদের কী অবস্থা? তা না পরতে পারছে মাস্ক আর না কোনও সাবধানতা অবলম্বন। তাই তো নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় করোনা বাসা বেঁধেছে একটি বাঘের শরীরে। অকারণ অবলা প্রাণীর রোগভোগ মানতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা। আর ওই বাঘের অসুস্থতা থেকেই শিক্ষা নিলেন একজন ছাগল পালক। মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে সুরক্ষিত রাখতে ছাগলের মুখে মাস্ক পরালেন তিনি।
তেলেঙ্গানার কাল্লুর মণ্ডলের বাসিন্দা এ ভেঙ্কটেশ্বর রাওয়ের চাষবাসের জমি নেই। সংসারের আর্থিক সংস্থানে তাঁর ভরসা ২০টি ছাগল। লকডাউনে বাড়িতে সাধারণ মানুষ থাকলেও, পশুদের রাখা দায়। ঘাস খেয়ে পেট ভরাতে বাইরে পাঠাতেই হচ্ছে তাদের। কিন্তু ভাইরাস যে তা বোঝে না। তাই যেকোন মুহূর্তে তাদের শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে মারণ ভাইরাস। তাই তাদের সাবধানে রাখতে ভরসা মাস্ক। সে কারণেই ভেঙ্কটেশ্বর রাও তাঁর গৃহপালিত ছাগলদের মুখ ঢেকেছেন মাস্কে। বাইরে বেরনোর সময় তাদের মুখে পরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। ঘাস খেয়ে বাড়ি ফেরার পর নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী মাস্ক ধুয়ে নিচ্ছেন তিনি। তারপর তা ভাল করে রোদে শুকিয়েও নিচ্ছেন।
ভেঙ্কটেশ্বর রাও বলেন, “আমি শুনলাম নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় থাকা এক বাঘ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শুনি। তারপরই আমার পোষা ছাগলদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তারপরই আমি ঠিক করি ওদেরও মাস্ক পরানো শুরু করব। সেই অনুযায়ী বাজার থেকে মাস্ক কিনি। তারপর তাদের পরাতে শুরু করি। প্রথম দিকে ছাগলগুলির সমস্যা হচ্ছিল। তবে এখন বোধহয় ওরাও বুঝতে পেরেছে যে মাস্ক পরতেই হবে। তাই মাস্ক পরালে বিশেষ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে না।” করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা ওই ছাগলরাই এখন টক অফ দ্য টাউন। তাদের নিয়ে এলাকাবাসীর আলোচনার সীমা নেই।
এখন বাংলা - Ekhon Bengla | খবরে থাকুন সবসময়