শারীরিক দূরত্বও উধাও, মমতা-মোদীকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়
ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বসিরহাট মহকুমা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর চাউর হতেই শুক্রবার সকাল থেকে বসিরহাট কলেজ সংলগ্ন এলাকায় কাতারে-কাতারে মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম কার্যত ভেঙে পড়ে এদিন।
দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে বসিরহাট শহরের উপর দেখা মেলে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টারের। তার আগে সকাল ন’টা থেকে উৎসাহী মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার দেখার সঙ্গে-সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাত নেড়ে স্বাগত জানান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কার্যত গায়ে গা ঘেঁষে মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন৷ অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। যে ছবি দেখে কার্যত স্তম্ভিত স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা এবং চিকিৎসকেরা। সচেতন শহরবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, করোনা পরিস্থিতি যখন জটিল আকার নিচ্ছে, তখন কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে মানুষ শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে দাঁড়িয়ে থাকলেন ঘন্টার পর ঘন্টা। এদিনের ভিড় থেকে যদি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তার দায় কে নেবে? প্রশ্ন তুলছেন সচেতন বসিরহাটবাসী। যদিও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা এ বিষয়ে কুলুপ এঁটেছেন।
কেন তাঁরা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এভাবে জমায়েত হলেন প্রশ্ন করতে বিচিত্র সব উত্তর উঠে এল। এক বৃদ্ধের কথায়, “মোদি-মমতাকে একসঙ্গে দেখব এমন দুর্লভ জিনিস কি হাতছাড়া করা যায়! একটু সাহস করেই চলে গিয়েছিলাম। আমরা একটু দূরত্ব মেনেই দাঁড়িয়েছিলাম।” বাকিদের কথায় “প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন, এর থেকে ভাল জিনিস আর কিছু হতে পারে না।” রাজনৈতিক কারবারিরাও অবাক হয়েছেন৷ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। সর্বশেষ বিতর্ক দানা বেঁধেছিল করোনা পরিস্থিতি দেখতে এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে। উপস্থিত মানুষের বক্তব্য “এখন থেকে রাজনীতি থাকুক রাজনীতির জায়গায় কিন্তু রাজনীতিকে কেন্দ্র করে যেন আর হিংসা, খুন দেখতে না হয় আমাদের। মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী যে ঐক্যের বাতাবরণ দেখিয়ে গেলেন তা থেকে যেন দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা শিক্ষা নেন।” তবে ওই শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা ওই ভীড়কে ঘিরেই দিনের শেষে আশঙ্কা থেকেই গেল।।
এখন বাংলা - Ekhon Bangla | খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
Source : sangbadpratidin
(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন 9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।