করোনা যুদ্ধের কৌশল তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক



করোনা যুদ্ধের কৌশল তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক





নিউজ ডিস্ট:- আজ থেকে পরপর ২ দিন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠক, সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে এই বৈঠক থেকে কী দাওয়াই প্রধানমন্ত্রী দেন, সেদিকেই এখন গোটা দেশ তাকিয়ে। কেননা, আনলকডাউন-১ পর্বে সংক্রমন ও মৃত্যু সংখ্যা দেশে ক্রমেই বাড়ছে। আনলকডাউন-১ পর্বে ভারতে খুলে দেওয়া হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাদনবাকি সবদিক। হোটেল,রেস্তোরাঁ, শপিং মল,সরকারি, বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। খুলেছে সমস্ত ধরনের দোকান,বিউটি পার্লার,স্পা, বডি মাসাজ সেন্টাট। তাই রাস্তায়, দোকানে, বাজারে প্রচুর মানুষ নামার ফলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মান্যতা পাচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলছেন, “এরই সার্বিক প্রভাবে এক ধাক্কায় ভারত চতুর্থ করোনা সংক্রমিত দেশে পৌঁছে গেছে মাত্র কয়েকদিনে।” তবে এই পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করা যায় সেই পথ খুঁজতেই ১৬ এবং ১৭ জুন, এই দু’ইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করবেন। ১৬ জুন ও ১৭ জুন দুদিনই বিকেল তিনটের সময় এই বৈঠক শুরু হবে। লকডাউন শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পাঁচ দৈাশ বৈঠক করেছন। সেই নিরিখে এটা হতে চলেছে ষষ্ঠ বৈঠক। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, “লকডাউন পুনরায় বর্ধিত করা না হলেও সামাজিক দূরত্ব বিধি ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরও কিছু কঠোর নিয়ম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আগে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তাঁদের রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি জানতে চাইবেন। তারপরই কেন্দ্রীয়ভাবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে বলে জানা যাছে।




দেশের করোনা পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গেছে সেটা সবারই গোচরে আছে। সুপ্রিম কোর্টও পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিসহ মোট চার রাজ্যোর করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার পদ্ধতি, প্রকরণ নিয়ো উষ্মা প্রকাশ করেছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্র খুলে দিলেও পরিবহণ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার কথাই যদি ধরা হয় তো দেখা যাবে গত পয়লা জুনের পর থেকে রাজ্য সরকার যে হারে দোকান,বাজার, তারপর ৮ জুন থেকে সরকারি, বেসরকারি অফিস খুলে দিয়েছে, সেই অনুপাতে রাস্তায় সরকারি,বেসরকারি বাস নেই। প্রচন্ড ভীর ঠেলে মানুষ পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বিপদের বাসযাত্রা করছে। অটোর ক্ষেত্রে দুজন, বাসে শুধুমাত্র সিটে বসে যাওয়ার কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও কোনওভাবেই তা মানা হচ্ছে না। আর মানা যে হচ্ছে না, তার জন্য সরকারও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এদিকে এরই মধ্যে বিউটি পার্লার, বডি মাসাজ সেন্টার, হেলথ স্পা সেন্টার সব খুলে গেছে। যেখানে মানুষের শরীরে শরীরে সংযুক্ত হচ্ছেন। কাজেই লকডাউনে যতটুকু সামলানো গেছিল এখন প্রবল ভাবে কলকাতা ও দেশের সবকটি মেট্রো সিটিতে সংক্রমন বাড়ছে। এই আশঙ্কাটাই চিকিৎসকরা করছিলেন। চিকিৎসকরা বলছেন, “এই পর্বে যখন লকডাউন ধাপে ধাপে তোলা উচিত ছিল,তা না করে আচমকাই সব চালু করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংক্রমন বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তবে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে, এত মৃত্যর পরেও এটা হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে কী বার্তা এই দু’দিনে দেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।”




এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়


এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।



নবীনতর পূর্বতন