বঙ্গ বিজেপিতে বড় ধাক্ক, দলে দলে যোগ তৃণমূলে



বঙ্গ বিজেপিতে বড় ধাক্ক, দলে দলে যোগ তৃণমূলে




নিউজ ডেস্ক, বাঁকুড়া: বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগদানের ধারা অব্যাহত বাঁকুড়ায়। সোমবার ওন্দার কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লেদাসন গ্রামে সিপিআইএম-বিজেপি ছেড়ে ৫০০ জন তাদের দলে যোগ দিয়েছেন, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।




এদিন ওই কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশীষ বটব্যাল, কার্যকরী সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বিধায়ক অরুপ খাঁ প্রমুখ। আগামী কয়েক দিন ধরে অন্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে আসা কর্মীদের তাদের দলে যোগদানের প্রক্রিয়া চলবে বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে।




এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মিঠুন মাঝি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে দলটা করছি। আইনী ঝামেলায় জড়িয়েও লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছি। এখন আর এলাকায় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’কে দেখতে পাওয়া যায়না। তিনি মানুষের পাশে নেই। অথচ তৃণমূল নেতৃত্ব সবসময় মানুষের পাশে আছেন। মানুষের হয়ে কাজ করতেই তার দলবদল বলে তিনি জানান।





তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশীষ বটব্যাল বিজেপিকে ‘বাঙ্গালী বিদ্বেষী’ রাজনৈতিক দল দাবি করে বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে কে বন্ধু, কে শত্রু। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ সব বুঝতে পেরেই তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরকালি প্রতিহার এপ্রসঙ্গে বলেন, কেউ বিজেপি ছেড়ে যায়নি। ওই নেতারা দলের লোককেই নতুন করে দলে যোগ দেওয়ার নাটক করে দলনেত্রীর ‘সহানুভূতি’ পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তিনি দাবি করেন।




অন্যদিকে, রবিবারও সোনামুখী ব্লক এলাকার বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় আড়াই হাজার নেতা এবং কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। সোনামুখী শহর ও ব্লক তৃণমূলের কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই দলবদল হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশীষ বটব্যাল, তৃণমূল নেত্রী ও প্রাক্তন বিধায়ক দীপালী সাহা, জয়ন্ত মিত্র প্রমুখ। তাঁদের হাত থেকেই বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী দল ছেড়ে নেতা-কর্মীরা শাসকদল তৃণমূলে যোগ দিল।




গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হন বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। একাধিক ইস্যুতে জঙ্গলমহলের মানুষ মুখ ফেরায় শাসকদল তৃণমূলের থেকে। আর সেই জায়গাটা ধীরে ধীরে শক্ত করে বিজেপি।




যদিও সময় ঘুরতেই সেখানকার মানুষ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। আর সেই কারণেই দলে দলে মানুষ ফের তৃণমূলে আসছে বলেও দাবি। আগামিদিনে বিজেপি বলে বাঁকুড়াতে কিছু থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বের। যদিও এই সমস্ত কিছুই শুধু আওয়াজ বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিও।











এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়


এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।


Source Open




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।


নবীনতর পূর্বতন