পশ্চিমবঙ্গের ঢুকে পড়ল পঙ্গপালের দল? একাধিক জেলায় জমিতে ফসলের নষ্টের আতঙ্কে ভুগছে রাজ্য বাসী।
পশ্চিমবঙ্গের ঢুকে পড়ল পঙ্গপালের দল? একাধিক জেলায় জমিতে ফসলের নষ্টের আতঙ্কে ভুগছে রাজ্য বাসী।
অমিয় ঘোষ,পশ্চিমবঙ্গ :- অবশেষে আশঙ্কা সত্যি করে বঙ্গে ঢুকেই পড়ল পঙ্গপালের দল।ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের একটি গ্রামে চাষের জমিতে পঙ্গপালের হামলাতে লাউ এবং আদা গাছের পাতা দফারফা বলে মনে করা হচ্ছে।আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। যদিও ঝাড়গ্রাম জেলা কৃষি দপ্তরের কাছে ধরনের কোন খবর নেই বলে দাবি করেছেন কৃষি আধিকারিকরা। তবে করোনা আর আমফান আতঙ্কের পর পঙ্গপালের উপদ্রবে ঘুম উড়েছে গোটা দেশের কৃষকদের।
সপ্তাহ দুই-এক আগেই আমফানের জেরে বিভিন্ন জেলায় চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান-সহ সবজির ক্ষেত কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। তার উপরে পঙ্গপালের দল এমন হামলা শুরু করলে সমূহ ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়েছে কৃষকরা। সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোড়াশাল গ্রামের চাষের জমিতে পঙ্গপাল দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকের একাংশের। যদিও এখন বেশিরভাগ জমি থেকেই ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও জমিতে করলা, ঝিঙে, কুমড়ো, পটল, কুঁদরি-সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে জমিতে। স্থানীয় কৃষকদের একাংশের বক্তব্য, জমিতে বেশ কিছু পঙ্গপালের মতো পতঙ্গ দেখা গিয়েছে।যদিও খুব বড় সংখ্যায় এদের দেখা যায়নি। জোড়াশাল গ্রামের বাসিন্দা দেব কুমার গিরি বলেন, “গত দুদিন ধরে বিকেলে ধূসর রঙের পঙ্গপাল দেখা গিয়েছে। আদা, লাউ গাছের দফারফা করে দিয়েছে।”
শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলায় নয়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাধানগর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় লাখেশোল শালবাগানে পঙ্গপাল মতো পতঙ্গ দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার বিকেলের পর থেকে এই শালবনের একাধিক সাল গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে এই পতঙ্গ গুলিকে পাতা খেতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। শালবনে পতঙ্গদের এই পাতা খাওয়ার দৃশ্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁরা। যদিও সরকারি ভাবে কোনো কিছু জানানো হয় নি।
এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ,দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
Source Open
(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)