Telegram Group Join Now
WhatsApp Group Join Now


করোনা মোকাবিলায় সফল চিন, সেই পথেই কী হাঁটবে ভারত





করোনাভাইরাসেরা বিরুদ্ধে চিনের লড়াইকে রীতিমত সাধুবাদ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর গোটা বিশ্বকে প্রবল ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের মোকাবিলার করার জন্য চিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বলল। বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়েই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনার পাদুর্ভাব। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আক্রান্তের  সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। ভারতের ছবিটাও রীতিমত উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তিরশোর বেশি মানুষ। রোজই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে রয়েছি আমরা। এখনই যদি রাশ না টানা যায় তাহলে ভয়ঙ্কর আকার নেবে। এই পরিস্থিতি চিনের পথে হেঁটে লকডাইনের পথে চলে গেছে গোটা দেশ। 




করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মোকাবিলায় কী করেছিল চিন? একবার নজর রাখি সেদিকেই।


জানুয়ারিতেই  চিনে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল করোনার সংক্রমণ। এই অবস্থায় দেশের দুই কেন্দ্র উনান আর হুবেইকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করেদেওয়া হয়েছিল। উনানেন লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাকে গৃহবন্দি থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হুবেই প্রদেশের বাসিন্দাদেরও। চিনের কয়েক লক্ষ মানুষ সরকারের নির্দেশে কার্যত গৃহবন্দি হয়েছিলেন। পরিস্থিতি কোমাবিলায় পথে নামান হয়েছিল পুলিশকেও। দেশের নাগরিকদের গৃহবন্দি করে রাখতে রীতিমত কড়া নজর রেখেছিলেন প্রশাসন। 




পরিসংখ্যন বলছে উনান ও হুবেই প্রদেশ লকডাউন করে দেওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করেছিল আক্রান্তের সংখ্যা।  ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের একটি সমীক্ষা বলছে চিন যে কৌশল অবলম্বন করে সাফল্য পেয়েছে প্রথমে মনে করা হয়েছিল তা স্বল্প মেয়াদী ও স্বল্প ব্যায়ের। কিন্তু পরে দেখা যায় রোগ মোকাবিলা করা যায় কিন্তু এই পরিকল্প দীর্ঘমেয়াদি। অধিক ব্যায় বহনকারী। করোনার প্রভাবে জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়ায় রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে প্রশাসন যদি কড়া না হত তাহলে আরও ভয়ঙ্কর আকার নিত করোনা। 


চিনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক জানিয়েছেন শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশেই প্রায় ৪২ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মী করোনা মোকাবিলায় কাজ করেছেন। চিকিৎসাক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এনেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল চিন। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৩৩০০ স্বাস্থ্য কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। পাশাপাশি চিন প্রশাসন নজর দিয়েছিল সচেতনতার ওপর।  রাস্তাঘাটে পোস্টার ব্যানার দেওয়া হয়। পাশাপাশি সবকটি মাধ্যমকে ব্যাবহার করা হয়েছিল প্রচারের কাজে।  





প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যাপকভাবে বিলি করা হয়েছিল মাস্ক। বাকি প্রদেশগুলিতেও চালান হয়েছিল কড়া নজরদারী। পার্ক, রেস্তোরাঁসহ জনবহুল এলাকায় প্রবেশের আগে মাস্কের ব্যবহার করতেই হত নাগরিকদের। পাশাপাশ সবজায়গায় চলতে পরীক্ষা। কোনও ব্য়ক্তির জ্বর থাকলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের কাছে পাঠান হয়। 





করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রায় একই পথে হেঁটেছে ভারতের প্রশাসন। গোটা দেশের ৭৫টি গুরুত্বপূ্র্ণ শহরে শুরু হয়েগেছে লকডাউন। সরকারি বেসরকারি একাধিক যানবাহনের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নাগরিকদের সচেতন করতে রীতিমত প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন।


নবীনতর পূর্বতন
Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now