কলকাতা: বিশেষ প্রয়োজন না হলে ভিড় বাস ট্রেন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নানান সতর্কতা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা যে সমস্ত জায়গায় মানুষের জমায়েত বেশি হয় সেই সমস্ত জায়গা এই মুহূর্তে নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন। সেই কারনেই অন্তত আরও দুসপ্তাহ ভিড় ট্রেনে বাসে না ওঠাই ভাল । এমনটাই মত কলকাতার বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। চিকিৎসক সুমন পোদ্দারের কথায়,' আগামী কয়েকটা দিন খুব সাবধানে থাকতে হবে শহরের মানুষকে। তাঁর মতে, যেহেতু বিদেশ ফেরত কলকাতার একজনের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে। এবং সেই তরুণ বিদেশ থেকে ফেরার পর বেশ কয়েকটা দিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেছে। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই মানুষকে আরও বেশি করে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে। অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার, মাস্ক পড়া এবং যেখানে প্রচুর ভিড় রয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় এই মুহূর্তে না যাওয়াই শ্রেয়'।
কলকাতার অন্যতম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজা ধরের কথায়, 'সরকারি বেসরকারি বাস কিম্বা ট্রেনে যে পরিমাণে ভিড় হয় তা এই মুহূর্তে যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক। খুব প্রয়োজন না হলে বাসে কিম্বা ট্রেনে না উঠে সম্ভব হলে বিকল্প ব্যবস্থা করাই ভাল। তবে সরকার এবং বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ ঠেকাতে যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকলেই ঠেকানো যাবে করোনা সংক্রমণ'। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' সামান্য সর্দি কাশি জ্বর এই মুহূর্তে হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সেই রোগীর করোনা সংক্রমণ শরীরে থাবা বসিয়েছে। তবে সেই রোগীর যদি সর্দি কাশি জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয় তবে অবিলম্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত'। শ্যামাশিসবাবু বিশেষ করে হাত পরিষ্কার রাখার বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন ,' নিয়ম করে স্যানিটাইজার দিয়ে কিম্বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া সম্ভব না হলেও নিয়ম করে সাবান জল দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে। নাকে চোখে মুখে অকারণে হাত না দেওয়া।
তবে কলকাতা তথা এরাজ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার যে যে সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন, সতর্ক থাকলেই ভয়ের কিছু নেই'। প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, কলকাতায় প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তরুণের বাবা, মা ও তাঁদের দুজন গাড়ির চালক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত পরীক্ষা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চারজনেরই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবুও চিকিৎসকদের পরামর্শ ,' সাবধানে থাকুন'।