‘সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল’, লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের



‘সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল’, লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের




 লাদাখ ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইন্দো-চিন সংঘাতে ভারতীয় সেনার মৃত্যুর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘দ্রুত ঘুমিয়ে’ পড়ার অভিযোগ তুললেন ওয়ানাড় সাংসদ। সর্বদল বৈঠকের আগেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করে সরব হন কংগ্রেস নেতা।




আর কয়েকঘণ্টা পরেই লাদাখ ইস্যুতে শুরু হবে সর্বদল বৈঠক। কিন্তু তার অপেক্ষা না করেই টুইটে নিজের অভিযোগের লম্বা তালিকা প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে, প্রথমত গালওয়ান উপত্যকায় চিনের লালফৌজের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। দ্বিতীয়ত এই সমস্যাটিকে অগ্রাহ্য করে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তৃতীয়ত, ভারতীয় জওয়ানদের প্রাণের বিনিময়ে সেই মূল্য চোকাতে হয়।”




এদিন জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েকের (Shripad Naik) একটি সাক্ষাৎকারকে তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সোনিয়া পুত্র। এই সাক্ষাৎকারেই জুনিয়র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে স্বীকার করতে শোনা যায় যে, ভারতীয় সেনার উপর চিনা লাল ফৌজের হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে ভারতীয় সেনার কাছে সেই হামলার কোনও খবর ছিল না কেন? পরে যদি সেই পরিকল্পনার খবর প্রতিরক্ষামন্ত্র জানতেও পারেন তাহলে সরকার এখনও সেনাদের এই বলিদানের পরবর্তে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?




বৃহস্পতিবারই ওয়ানাড় সাংসদ ভারতের বীর জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার জন্য গেরুয়া শিবিরের পালটা তোপের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের এই স্থানে ভারতীয় জওয়ানরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন না বলেও জানানো হয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে। সংঘাতের সময়, ভারতীয় জওয়ানদের উপর নির্বিচারে ধারালো অস্ত্র, মুগুর নিয়ে চড়াও হয় চিনারা। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেসময় ভারতীয় জওয়ানদের হাতে এই ধরনের কোনও অস্ত্রই ছিল না। সেটা নিয়েই বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে মে মাস থেকেই চিনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ নিয়ে কেন্দ্রকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু কেন্দ্র তখন এই বিষয়ে আমল না দেওয়াতেই আরও ক্ষুব্ধ হন রাহুল গান্ধী।





এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়




এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।


Source : Googlenews




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।


নবীনতর পূর্বতন