মুকুল ম্যাজিক ব্যর্থ, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন হাজারো ‘মুকুল’ অনুগামী

মুকুল ম্যাজিক ব্যর্থ, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন হাজারো ‘মুকুল’ অনুগামী

নিউজ ডেস্ক, পশ্চিম মেদিনীপুর: মুকুল অনুগামীদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি ছেড়ে দলে দলে কয়েক হাজার কর্মী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা তৃণমূলে যোগদান করছে ও আগামী দিনে আরও করবে। ইদানিং বিজেপি দলে মুকুল রায়কে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীচুতলার কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। যারা একসময় মুকুল রায়কে সামনে রেখে গত লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে দক্ষিণ বঙ্গে তৃনমূলের কফিনে পেরেক মেরেছিল তারাই রবিবার আবার কলকাতার দাদার (মুকুল রায়) অলিখিত নির্দেশে দলে দলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত প্রান্তে তৃণমূলে যোগদান করছে।

লক্ষ্য সামনের বছর বিধানসভা ভোট। তাই করোনা আবহকালেও যে যার মতো করে শক্তিবৃদ্ধি করতে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ও শালবনী বিধানসভার একাধিক বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “বিজেপি কেবলমাত্র ভাষণই দিয়ে গিয়েছে। কাজের কাজ কিছু করেনি। তাই তাদের ছেড়ে দলে দলে বিজেপি নেতাকর্মীরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গী হতে তৃণমূলে যোগদান করছেন।” তার ঘোষণা, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যতবার এ জেলায় আসবেন ততবার দলে দলে বিজেপি নেতাকর্মীরা আমাদের দলে যোগ দেবেন।”

মাত্র একদিন আগেই খড়্গপুরে প্রায় ২০০ জন বিজেপি নেতাকর্মী যোগদান করেছেন বলে দাবি করেছেন অজিতবাবু। তার আগে গড়বেতা, কেশিয়াড়ী সহ একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূলে যোগদান হয়েছে। এদিন কেশপুর থেকে আসা বিজেপি কর্মীরা মেদিনীপুর শহরে জেলা পার্টি অফিসে এসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন খোদ অজিতবাবু থেকে শুরু করে দলের চেয়ারম্যান দীনেন রায়, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা, জেলা তৃনমূলের সাধারন সম্পাদক মহম্মদ রফিক, শেখ ইমদাদুল ইসলাম, কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী প্রমুখ। অপরদিকে এদিনই শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের ২ নম্বর করসা ও ৬ নম্বর শঙ্করকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

চন্দ্রকোনা রোডে ওই যোগদান সভায় হাজির ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, আকাশদীপ সিনহা, প্রদীপ রায়, কৃষ্ণেন্দু বিশই প্রমুখ। বিজেপি থেকে আসা নেতাকর্মীদের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে স্বাগত জানান তারা। এদিন কেশপুরের ১৪ নম্বর ঝেঁতলা ও ১৫ নম্বর নায়েতপুর এলাকার প্রায় ৩০০ বিজেপি কর্মী তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সারা দেশজুড়ে ভালো ফল করায় অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। এদিন তাদের অনেকেই ফের ফিরে এসেছেন পুরোনো দলে। অজিতবাবু বলেছেন, “সংসদীয় গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। তার কটাক্ষ, যারা দেশজুড়েও মহামারী সত্ত্বেও হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাজনৈতিক ভার্চুয়াল সভা করতে পারে তারা মনুষত্ববিরোধী। মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু টিভিতে ভাষণ মানুষ সহ্য করবে না।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এজেলার ১৫ টি আসনই বিজেপি পাবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।



এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
Source Open

(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।
নবীনতর পূর্বতন