যুগে যুগে গ্রহণ মানে সেই কু-সংস্কারই, বুঝিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রও



যুগে যুগে গ্রহণ মানে সেই কু-সংস্কারই, বুঝিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রও




নিউজ ডেস্ক : আজ সূর্য গ্রহণ। কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা সহ বাংলা থেকে দেখা যেতে পারে খণ্ডগ্রাস। সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হয়ে যাবে দেশের ঘরে ঘরে কুসংস্কারও। না নেয়ে খেয়ে চুপচাপ অনেক ভারতীয় পরিবারই চুপ করে বসে থাকবে। এই যুগেও সমস্ত কু-সংস্কার অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ এই গ্রহণ কালে নানা কাজ কর্ম করবেন যা কু-সংস্কার ছাড়া কিছু নয় বলেই বারবার বলেছেন শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে বহু বিখ্যাত মানুষ। অন্যতম আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।




গ্রহন লাগলে কি কি করতে হয়, কি কি করবেন না সেই সব খবরও ফলাও করে লেখা হচ্ছে। ঘটনা হল কু-সংস্কারের অ্যাডভারটাইজমেন্টও খবর, কারণ তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের মন চিবিয়ে চিবিয়ে তারিয়ে তারিয়ে খায়। একবিংশের ভারত আবার ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’। মানে মুখে বলবেন, ‘ধুর ওসব মানি না, মনে লুকিয়ে নানা অন্ধকারাচ্ছন্ন সংস্কার’। এই ঘটনা যে একইরকমভাবে ঘটে আসছে তার প্রমান আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। তিনি বলেছিলেন , ‘আমি ক্লাসে এত করিয়া ছাত্রদের পড়াইলাম, যে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়িয়া চন্দ্রগ্রহণ হয়। তাহারা তা পড়িল, লিখিল , নম্বর পাইল, পাস করিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হইল যখন আবার সত্যি সত্যি চন্দ্রগ্রহণ হইল তখন চন্দ্রকে রাহু গ্রাস করিয়াছে বলিয়া তাহারা ঢোল, করতাল, শঙ্খ লইয়া রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িল। ইহা এক আশ্চর্য ভারতবর্ষ ।’





প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যাপনার সময়েই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মেসার্স বটকৃষ্ট পাল এন্ড কোং এর কর্ণধার ভূতনাথ পালের সহায়তায়, মাত্র ৮০০ টাকার পুঁজি নিয়ে কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই নামলেন ভেষজ শিল্পের ব্যবসায়। স্থান ৯১ নম্বর আপার সার্কুলার রোড। সঙ্গে বাল্যবন্ধু ঝামাপুকুর নিবাসী ডাক্তার অমূল্যচরণ বসু। যুক্ত হলেন ছাত্ররাও। জ্ঞান চন্দ্র ঘোষ, রাজশেখর বসু। সেই রাজশেখর বসু, আমরা চিনি বাংলা রসসাহিত্যের দিকপাল “পরশুরাম” পরিচয়ে। তিনি হলেন প্রথম ম্যানেজার।




কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ সুহৃদ প্রফুল্ল চন্দ্রকে যেমন কপট অনুযোগের সুরে বলেন তিনি সব রসই টেনে নিচ্ছেন, আবার আত্মতৃপ্তির প্রকাশ করেন ” আমি রস-যাচাই এর নিকষে আঁচড় দিয়ে দেখলেম যে আপনার বেঙ্গল কেমিকেলের এই মানুষটি একেবারেই কেমিকেল গোল্ড নন, ইনি খাঁটি খনিজ সোনা”। বেঙ্গল কেমিকেলের জোয়ানের আরক বা অ্যাকুয়া টাইকোটিস, কালমেঘ, বসকের সিরাপ সমাদৃত ছিল বাংলার ঘরে ঘরে।




বাঙালীর প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল কেমিকেল ছিল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের স্বদেশচিন্তার ফসল। পরবর্তীকালে, বেঙ্গল কেমিকেলে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় মাণিকতলার কাঁকুড়গাছি ও পানিহাটিতে। বেঙ্গল কেমিকেলের মূল অফিসটি আচার্যের তিরোধানের ( ১৬ই জুন, ১৯৪৪) পর স্থানান্তরিত হয় কাঁকুড়গাছির কারখানা চত্বরে।








এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়


এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।


Source Open




(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)




আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।


নবীনতর পূর্বতন