চলতি বছরেই আসবে কয়েক লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন, আশা দেখাল WHO

চলতি বছরেই আসবে কয়েক লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন, আশা দেখাল WHO

নিউজ ডেস্ক, জেনেভা: লকডাউন উঠুক বা না উঠুক, মানুষ এখনও মোটামুটিভাবে গৃহবন্দি। ভ্যাক্সিন বা প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত ভয় থেকেই যাচ্ছে। এবার ভরসা জোগাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

WHO জানিয়েছে তাদের আশা, করোনা ভাইরাসের কয়েক লক্ষ ভ্যাক্সিন তৈরি হবে চলতি বছরেই। আর পরের বছর শেষ হওয়ার আগেই তৈরি হবে ভ্যাক্সিনের ২০০ কোটি ডোজ। এমনটাই জানিয়েছেন WHO -এর চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথন।

ভ্যাক্সিন কাদের প্রথমে দেওয়া হবে, সেই পরিকল্পনা তৈরি করার কাজও শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে দেওয়া হবে ভ্যাক্সিন। এছাযা যাদের বয়স বেশি ও অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত, তাদেরও দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। এছাড়া জেল বা হোম, যেখানে বহু মানুষ একসঙ্গে থাকেন, তাঁদেরও দ্রুত ভ্যাক্সন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ওই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, ভ্যাক্সিনের বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। একটা না হলে আর একটা নিশ্চয় সফল হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞানীরা যদিও মনে করছেন এখনও করোনা লড়াইয়ে কার্যকরী প্রতিষেধক পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। আগের মাসে গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ফিজার জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের শেষেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে।

এখন সারা বিশ্বে ১০০ টি প্রতিষেধকের উপর বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু পাকাপাকি সুফল নিয়ে করোনার সঙ্গে লড়াই করবে এমন প্রতিষেধকের খোঁজ এখনও ধোঁয়াশায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় নির্মিত প্রতিষেধক আশা দেখাচ্ছে। কিন্তু কবে প্রতিষেধক প্রয়োগে কোভিড আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে তা এখনও অনিশ্চিত।

এই মুহূর্তে বিশ্বে ১০টি ভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। বহু ফার্মাসি সংস্থা ডোজ অর্ডার দিতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই একটি ওষুধ করোনা রোগীদের উপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন ডেক্সামেথাসোন নামে সস্তা ও সহজলভ্য ওই ওষুধ করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের প্রয়োজন হয় অক্সিজেন চিকিৎসা। তাতে কাজ না হলে কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেবার জন্য ভেন্টিলেটর লাগাতে হয়। এই রোগীদের জন্যই ডেক্সামেথাসোন সাহায্য করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত এই ট্রায়ালে বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজার গুরুতর রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

ট্রায়ালে দেখা গেছে, যেসব রোগী ভেন্টিলেটরে ছিলেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি এই ওষুধ নেবার ফলে ৪০% থেকে কমে ২৮%এ দাঁড়ায়।আর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছিল এমন রোগীর বেরায় মৃত্যুর ঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামে।



এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
Source Open

(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে।  ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আমাদের ওয়েবসাইটে যদি কোন রকম বিজ্ঞাপন দিতে চান তবে যোগাযোগ করুন  9476288780 এই নম্বরে, ধন্যবাদ।
নবীনতর পূর্বতন