মুর্শিদাবাদে ২১৮ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার ২
রাজেন্দ্র নাথ দত্ত, মুর্শিদাবাদ : মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আবারো উদ্ধার গাঁজা। মণিপুর গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুর্শিদাবাদে মাদক পাচারকারীরা সক্রিয় হচ্ছে।আজ সকালে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি দিক থেকে আসা একটি লরি যার নম্বর WB15/A2236 মঙ্গলজোনের কাছে ৩৪নং জাতীয় সড়কের উপর আটক করে। তল্লাশি করার পর লরি টি থেকে ২১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়। ধৃত পাচারকারি সাদেক সেখ বাড়ি বহরমপুর থানার লক্ষণপুরে ও সামশের সেখ ডোমকল থানার রায়পাড়া সেখপুর গ্রামে ।তাদের কে বহরমপুর কোর্টে তোলা হয়। এই কাজে কারা কারা যুক্ত ছিল ও কোথা থেকে গাঁজা গুলি নিয়ে আসছিল সেই সমস্ত জানার জন্য ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের জন্যে কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। এই বিষয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়। বর্ডারে এখন কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে অনেক বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। তারপরেও তারা কারবার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ত্রিপুরা বর্ডার দিয়ে নেশার সামগ্রী ঢুকত। কিন্তু সেখানে নিরপত্তারক্ষী বাহিনী সচেতন হয়ে যাওয়ায় কারবারিরা মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি ব্যবহার করছে। পুলিস জানিয়েছে, মাদক কারবারের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। পাচার চক্রে তদন্তকারীরা অনেকের নাম পেয়েছে। তাদের খোঁজেও পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরের সেখানকার কারবারিদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের পাচারকারীরা হাত মিলিয়েছে। বাংলাদেশে নেশার এই সামগ্রী পাচার করে তারা কয়েক গুণ লাভ করে। মণিপুর থেকে গাড়িতে লুকিয়ে নেশার সামগ্রী নিয়ে আসে এখানকার কারবারিরা। পুলিস সোর্সের মাধ্যমে আগাম খবর না পেলে কারবারিদের ধরতেও পারে না। বর্ডারে এখন কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য সীমান্তবর্তী এলাকা গুলিতে অনেক বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। তারপরেও তারা কারবার চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আগে ত্রিপুরা বর্ডার দিয়ে নেশার সামগ্রী ঢুকত। কিন্তু সেখানে নিরপত্তারক্ষী বাহিনী সচেতন হয়ে যাওয়ায় কারবারিরা মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি ব্যবহার করছে।
পুলিস জানিয়েছে, মাদক কারবারের নেটওয়ার্ক অনেক বড়। পাচার চক্রে তদন্তকারীরা অনেকের নাম পেয়েছে। তাদের খোঁজেও পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে।লকডাউনে দাম কিছুটা বাড়লেও, টাকা দিলেই মিলছে গাঁজা, হেরোইনের মতো মাদক। এখানে গাঁজাকে সকলে ‘তামাক’ নামেই চেনে। করোনা পরিস্থিতিতে শহরে বেড়েছে ‘ফ্লাইং সেল’। অর্থাৎ ফোনে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করছে নেশাড়ুরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মাদক কারবারের রমরমা।যদিও পুলিসের দাবি, সারা বছর অভিযান চালানো হয়।মুর্শিদাবাদের মতো সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে কখনও বিএসএফ, কখনও পুলিস মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে। বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে মাদকাসক্ত বহু বালক ও কিশোরের দেখা পাওয়া যায়। শহরবাসীর দাবি, মাদকের কারবার বাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় আসামাজিক কাজ বাড়ছে। অভিযোগ, দিনেরবেলাতেও বিভিন্ন এলাকায় হাতবদল হয় মাদকের পুরিয়া।পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে বঁনগা সীমান্ত হয়ে এ রাজ্যে হেরোইন ঢোকে। অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড থেকে মূলত আসে গাঁজা। পরে তা হাত ঘুরে জেলায় জেলায় পৌঁছয়। এখন জোগানে টান পড়ায় দাম বেড়েছে। এখন শহরে কাশির সিরাপ, ব্যথার ওষুধ, ডেনড্রাইটের নেশা বাড়ছে।শহরবাসীর অভিযোগ, পুলিস অভিযান চালায় ঠিকই। তবে, মাদক পাচারের মূল পাণ্ডাদের কেউ ধরা পড়ে না। তাই শুধু সচেতনতার প্রচার করলেই হবে না, পুলিসকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে শহরের বাসিন্দারা মনে করেন।লকডাউনে দাম কিছুটা বাড়লেও, টাকা দিলেই মিলছে গাঁজা, হেরোইনের মতো মাদক। এখানে গাঁজাকে সকলে ‘তামাক’ নামেই চেনে। করোনা পরিস্থিতিতে শহরে বেড়েছে ‘ফ্লাইং সেল’। অর্থাৎ ফোনে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করছে নেশাড়ুরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মাদক কারবারের রমরমা।যদিও পুলিসের দাবি, সারা বছর অভিযান চালানো হয়।
[ আরোও পড়ুন, বুধবার থেকে কোথায় কোথায় কঠোর হচ্ছে লক ডাউন জানালেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ ]
এখন বাংলা - খবরে থাকুন সবসময়
এখন বাংলা, পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নির্ভীক পোর্টাল। আমরা আমাদের পাঠকদের কে সর্বদা সত্য খবর দিতে বধ্য পরিকর। স্থানীয়, রাজ্য, দেশ, দুনিয়া ও বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন এখন বাংলা ওয়েবসাইটে।
(স্বভাবতই আপনি আপনার এলাকার নানান ঘটনার সাক্ষী, দেরি না করে শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ঘটনার বিবরণ দিন, ছবি এবং ভিডিয়ো থাকলে দিতে পারেন আমাদের ইমেলে , ekhonbanglaofficial@gmail.com ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)